রামায়ণ–ঘনশ্যাম দাস—১৬শ শতাব্দী। 6.85) বলেন সুন্দরী সীতা কৌশল্যার স্থানে। সীতা অনুন ও। কোন ভয় নাহি মাতা শ্রীরামের গুণে॥ অনুমতি-গ্রহণ ৷ বিপিনে কণ্টক কত চরণে বাজিল। শ্রীরাম-স্মরণে কিছু দুঃখ না জানিল। ষার গুণে বন্দী হৈল বনের বানর। হেন রাম নিরবধি অন্তর-ভিতর॥ তোমার চরণে রাম নাম মুখে নিব। ক্ষুধা তৃষ্ণ ব্যথা পীড়া কিছু না জানিব ৷ এত বলি কৌশল্যার বন্দিল চরণ। প্রণমিলা সুমিত্র-কৈকেয়ীর চরণ॥ লক্ষ্মণ আছেন যথা দাণ্ডাইয়া পথে। সেই খানে গিয়া সীতা আরোহেন রথে। পুরীর বাহির হৈয়া যাইতে জানকী। জমঙ্গল দর্শন। নানা অমঙ্গল সীতা পথ-মধ্যে দেখি ৷ সীতার দক্ষিণ ভূজ করএ স্পন্দন। দক্ষিণ লোচন তার স্পন্দে ঘনে ঘন॥ দক্ষিণে রাকাড়ে (১) শিবা করি উৰ্দ্ধগল (২)। বাম পাশে ভূজঙ্গম দেখিল অমঙ্গল। অঙ্গের ভূষণ ঘন আলাইয়া পড়ে। সমুখে থাকিয়া কালপেচা যে রাকাড়ে॥ অমঙ্গল দেখি সীতা কহেন লক্ষ্মণে। এত অমঙ্গল আজি পথ-মধ্যে কেনে॥ সমুখ লঙ্ঘিয়া পথ যায় কুরঙ্গিণী। দেখিয়া লক্ষ্মণ মোর দগধে পরাণী॥ মুঞি অভাগিনী রহুক রামের কুশল। ঠাকুরাণী কৌশল্যার সর্ব্বত্র মঙ্গল। যে জন মারিল দুষ্ট খর যে দূষণ। সাগরে জাঙ্গাল বন্ধ কৈল যেই জন ৷ বিভীষণ শরণ লইল র্যার ঠাঞি। সেই প্রভু আমার হউক সচিরাই (৩) ৷ (১) রব করে। (২) উৰ্দ্ধকণ্ঠ। (৩) চিরজীবী।