রামায়ণ–দ্বিজ ভবানী—১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগ। (tԳՏ লক্ষ্মণে বোলেন মুনি শুন মোর বাণী। কি হেতু আসিছি আন্ধি চিন্তা কর পুনি॥ মুনি বোলে অঙ্গ মোর হইল নির্ম্মল। সাক্ষাতে দেখিল আহ্মি বদন-কমল ৷ যে কর্ম্মে আসিছ তুঙ্গি পুৱাইব আশ। চিন্তা ছাড় যুবরাজ না কর আশ্বাস॥ তোহ্মা লাগি বিধাতা এ রাখিয়াছে নিধি। তাকে লইয়া জিনিবা যে রাজগণ আদি॥ ইন্দ্রের নন্দিনী দেখি তুঙ্গি মোহ গেলা। যেন তুঙ্গি তেন রাম বিধাতা স্বজিল ৷ মুনি বোলে ইন্দ্রদেব আইল তপোবন। বধিল দানব দৈত্য বিচারি ভুবন॥ আজ্ঞা কর মহামুনি সঙ্গতি যাইতে। না পারি পামর চিত্ত আহ্মি ধরাইতে (১)॥ পদ্মপত্রের জল যেন করে টলমল। তেমত আহ্মার চিত্ত শুন মহাবল॥ মুনি বোলে সঙ্গে চল সুমিত্র-কোঙর। কন্ত-রত্ন দিব তোহ্মা প্রতিজ্ঞ যে মোর॥ এত শুনি মুনি সঙ্গে চলে ধনুৰ্দ্ধর। ক্ষণেকে চলিয়া গেল কন্যার বাসর (২)। মুনির সহিতে গেল পঞ্চ ধনুৰ্দ্ধর। পদভরে বসুমতী কঁপে থর থর॥ মহাবীর হনুমন্ত পবন-নন্দন। সুদাম নৃপতি আর কুমার লক্ষ্মণ। এহি সব সঙ্গে মুনি উপস্থিত হইল। লক্ষ্মণের আগমন কহিতে লাগিল। দেখে চন্দ্রকলা তবে আছে ভূমিতল। আপনে মোছয়ে মুনি নয়নের জল ৷ মুনি বোলে দাসীগণ কহ সমাচার। জ্ঞানহীন হই কেন আছয়ে কন্যার॥ কেনে অলঙ্কার রত্ন ধরণী লোটায়। দাসীগণে বোলে কথা কহনে না যাএ। (>) চিত্তে ধৈর্য ধারণ করিতে। (২) গৃহ।