(సిరి বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। মোর দাসে নাশে কেবা সাধ করে মনে। সর্ব্বসংহারিণী নাম কেবা নাহি জানে॥ অন্ত জন যদি হেন বচন বলিত। উগ্রচণ্ড নিকটে তখনি ফল পেত্য॥ তুমি স্বামী দারা আমি তাই সহ হল্য। এ কথা কহিতে মুখে লজ্জা না জন্মিল। কি তার সরম যার এমতি আশয়। নহিলে তোমারে কেন পশুপতি কয়॥ তোমার করণ বলি শুন নিজ রীত। শিব দুর্গা দোহে উক্তি পরম পূর্ণিত। শিবরাম পাদপদ্মে সমপিয়া কায়। দুর্গাপঞ্চরাত্রি গীত জগতেতে গায়॥ শিবের প্রতি পার্ব্বতীর ক্রোধোক্তি। তুমি সে যেমন বলিলে তেমন এমতি তোমার কায। তব দোষ নয় ধুতুরাতে কয় র্তেই সে এমন সাজ॥ এই করিয়া সব খোয়ায়্যা হয়্যেছ দিগম্বর। তোমার গুণে বিধিল ঘুণে আমার অন্তর॥ বিভূতি গায় দেবের সভায় যে যায় নাঙট বেশে। এমত কথা বলিতে হেথা লাজ কি মুখে আসে ৷ ভাঙ্গের ঘোরে নয়ন ফিরে চলিতে ঠাওর নাই। জটার ঘটা বিভূতি-ফেঁটী দেখিলে ভয় পাই॥ যাবত কাল হাড়ের মাল ভূতের সঙ্গে খেলা ৷