মহাভারত—ঘনশ্যাম দাস—১৬শ শতাব্দী | ৬৩৫ কত কত কলরব কলাপী কলাপে। কামিনী কর এ কত কত মনস্তাপে ৷ ডাহুক ডাহুকীতরে তবে মত্ত হৈয়া। রাজহংস রাজহংসী চুঞ্চে চুঞ্চ দিয়া॥ মত্ত হৈয়া মধুকর সঙ্গে লৈয়া দারা। আনন্দে মাতিয়া কত ক্রীড়া করে তারা॥ শয়ন বসন্ত কত মন্দ মনদ বা এ | কোকিলা করয়ে কত সুমধুর রাএ (১)। দেখিয়া কামিনীর মন মহা উতরোলে। রাজহংস মৃণাল ভক্ষয়ে শতদলে। সুগন্ধী সমীর ধীর গন্ধে মনোহর। উত্তরিলা চন্দ্রহাস দেখি সরোবর॥ তুষ্ট হৈয়া চন্দ্রহাস দেখিয়া উদ্যান। পূজিল কৃষ্ণের পদ দিয়া পুষ্পধন॥ তবে চন্দ্রহাস তাথে স্নান আচরিল। দিয়া দিব্য পুষ্পমালা কৃষ্ণ পূজা কৈল। করিলেন জল পান মুস্থচিত্ত হৈয়া। কদম্ব গাছেতে রাখেন অশ্বকে বান্ধিয়া॥ নিদ্রা যায় চন্দ্রহাস সুস্নিগ্ধ হৃদয়। সরোবরে আস্তে কন্তী এমন সময়॥ কুলিন্দী রাজার কন্যা চম্পক মালিনী। বিষয়া আইল সঙ্গে মন্ত্রীর নন্দিনী॥ সংহতি সকল কন্যা নবীন বএস। পুষ্পের বিহারে চলে করি নানা বেশ॥ প্রবেশ করিল সভে পুষ্পের উদ্যানে। দেখিল হস্তিনীগণ পুষ্পের কাননে। নবীন যৌবন সব রহে ভীত হৈয়া। রমণীগণের জল-ক্রীড়া। হস্তিনী সকলে তারা বলেন ডাকিয়া॥ আমা সভা দেখি যদি আইস হেথায়। কুম্ভস্থল বিদারিয়া সিংহ তোরে খায়। (১) ৱৰ।