মহাভারত—নন্দরাম দাস—১৬৬০ খৃষ্টাব্দ। ক্রোধে করে বাণ-বৃষ্টি সংহারিতে যেন সৃষ্টি দেখি দ্রোণ মনে ভাবে দুঃখ ৷ হেন কালে নারায়ণ ডাকি বৈল শুন দ্রোণ যে বলিএ বচন আমার। অশ্বথামা পুত্র তৰ আজি হৈল্য পরাভব ভীম-হস্তে হইল সংহার॥ “ এত শুনি দ্রোণ-বীর মনে হৈল্য অস্থির অন্তরে হইল বড় ত্রাস। অশ্বথামা জন্ম যবে শূন্তবাণী হৈল্য তবে চিরজীবী কহিলেন ব্যাস॥ সুমেরু ভাঙ্গিয়া পড়ে চন্দ্র স্বর্য্য স্থান ছাড়ে তবু মিথ্যা নাহি কহে মুনি। অসম্ভব্য কথা হেন ব্যাসের বচন অন্ত কন্তু আমি ইহা নাহি জানি॥ এত ভাবি কহে দ্রোণ শুন প্রভু ভগবান তব মায়া বুঝিতে না পারি। - পুত্রে ব্যাস দিল বর চারি যুগে অমর - তবে কেন হেন বল হরি॥ পুনরপি কৃষ্ণ বৈল্য বৃকোদর সংহারিল হয় নয় পুছ ভীমসেনে। মিথ্যা নাহি বলি আমি নিশ্চয় জানিহ তুমি অশ্বথামা পড়ি গেল রণে॥ এত শুনি দ্রোণাচার্য্য পুত্র-শোকে হত-ধৈর্য্য কহিবাবে লাগিল সত্বর। তবে আমি সত্য জানি যদি কহেন আপনি যুধিষ্ঠির ধর্ম্মের কুঙর॥ তবে প্রভু নারায়ণ কহিলেন ততক্ষণ ধর্ম্মপুত্র ডাকি নিজ পাশ। অশ্বথামা-হত জানি কহ তুমি নৃপমণি দ্রোণ কহে সত্য এই ভাষ॥ কৃষ্ণের বচন শুনি কহে ধর্ম্ম নৃপমণি কেমতে কহিব মিথ্যা বাণী। .ெ . ፄ ኃ© শ্রীকৃষ্ণের ছলনা। যুধিষ্ঠিরকে মিথ্যা বলার জঙ্ক প্ররোচন।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮৩৭
অবয়ব