পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

mや8 বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় | শিয়র না দিব আর কানাইর হাতে। নানা ফুল আর কৃষ্ণ না পরাবেন মাথে॥ আর না দিবেন কৃষ্ণ চর্ব্বণ-তামূল। কানুর বিহনে গোপী কাদিয়া ব্যাকুল ৷ কৃষ্ণ গেলে মরিব সর্থী তাহে কিবা কায। কৃষ্ণের সাক্ষাতে মৈলে কৃষ্ণ পাবে লাজ॥ অল্প ধন লোভ লোকে এড়াইতে পারে। কানু হেন ধন সর্থী ছাড়ি দিব কারে॥ কা সনে করিব ক্রীড়া যমুনার কুলে। কে আর ঘুচাবে সখী বিরহ আকুলে। কেমনে ধরিব প্রাণ কানু না দেখিয়া। রথে চড়ি যান কৃষ্ণ না চান ফিরিয়া॥ মথুরা গেলেন কৃষ্ণ না আসিবে হেথা। নানা রূপে যুবতীগণ নিবসয়ে তথা॥ তাহা সনে ক্রীড়া যবে করিব মুরারি। পাসরিব আমা সব আমি বনচারী॥ (১) যত দূৰ যায় অক্রর কানাঞী লইয়া। তত দূর চাহে গোপী একদৃষ্টি হৈয়া। না দেখিয়া রথখান ধুলা মাত্র দেখি। চাহিতে চাহিতে গোপী না নিমিষে আখি॥ কৃষ্ণ স্মরিয়া কান্দে সব গোপনারী। রাম কৃষ্ণ লৈয়া অক্রর যায় মধুপুরী। মধ্যাহ্ন সময়ে গেলা যমুনার কুলে। স্নান করে গিয়া অকুর যমুনার জলে॥ জলের ভিতরে দেখে রাম দামোদরে। দেখিল কৌতুক বড় আনন্দ অন্তরে॥ अणमरण अनश्चकी অনন্ত-মূর্ত্তি রাম দেখে সহস্ৰ-মস্তকে। বলদেব ও চতুভুজ কুফ এবং জলে স্থলে চারি ভিতে করে স্তুতি সব নাগলোকে॥ রামকৃষ্ণ দর্শন। (১) আমরা ( বৃন্দ-বনবাসিনী ), নাগরিকদের সঙ্গ লাভ করিয়া কৃষ্ণ আমাদিগকে ভুলিয়া যাইবেন।