বিদ্যাসাগর/পঞ্চম অধ্যায়

উইকিসংকলন থেকে

পঞ্চম অধ্যায়।

স্মৃতিতে প্রতিষ্ঠা, পিতৃভক্তির পরিচয়, বেদান্ত-পাঠ পিতৃঋণে কষ্ট,
ন্যায়-দর্শনে প্রতিষ্ঠা, ব্যাকরণের অধ্যাপকতা,
পাঠ-সমাপ্তি ও প্রশংসাপত্র।

 অলঙ্কারের পাঠ সামাপ্ত হইলে পর, ১২৪৪ সালে বা ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দে ঈশ্বরচন্দ্র স্মৃতির শ্রেণীতে প্রবেশ করেন। তৎকালে কলেজে স্মৃতির পূর্ব্বে ন্যায়-দর্শন ও তৎপরে বেদান্ত পড়িতে হইত। ঈশ্বরের ইচ্ছা ছিল, স্মৃতি পড়িয়া, “ল-কমিটি”র পরীক্ষা দিবেন। তৎপরে “ল কমিটি”র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া জজ পণ্ডিতের পদপ্রাপ্তিই তাহার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল।[১] কর্তৃপক্ষের অনুগ্রহে তিনি ভায়-দর্শন ও বেদান্ত পড়িবার পূর্ব্বে স্মৃতি পড়িবার আদেশ পান। ঈশ্বরচন্দ্রের বয়স তখন ১৭|১৮ সতর আঠার বৎসর হইবে। ঈশ্বরের অস্তুত কীর্ত্তি! ভাবিলে বিস্ময়ে রোমাঞ্চিত হইতে হয়। সচরাচর দুই তিন বৎসরে পণ্ডিতগণও স্মৃতির পাঠাভ্যাস করিয়া উঠতে পারিতেন না। বালক ঈশ্বরচন্দ্র ৬ ছয় মাসে পড়া সাঙ্গ করিয়া “ল কমিটির পরীক্ষা দেন এবং প্রশংসিতরূপে উত্তীর্ণ হন। এই ছয়মাস কাল তিনি রন্ধনাদি করেন নাই। ছয় মাস কেবল প্রত্যহ দুই তিন ঘণ্টামাত্র নিদ্রা যাইতেন। স্মৃতি তাঁহার কণ্ঠস্থ হইয়াছিল। অধ্যাপক এবং সহপাঠিগণ তাঁহার এতাদৃশ অদ্ভুত শক্তি দেখিয়া আশ্চর্য্যান্বিত হইতেন। এমন নহিলে কি মানুষ ভবিষ্যৎ জীবনে যশস্বী হইতে পারে? বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এই অদ্ভুত শক্তির কথা যখনই আমাদের স্মৃতিপথে উদিত হয়, তখনই মহাকবি ভবভূতির সেই স্বল্পাক্ষর গভীরভাবপূর্ণ শ্লোকটা মনে পড়ে,—

“বিতরতি গুরুঃ প্রজ্ঞে বিদ্যাং যথৈব তথা জড়ে
ন চ খলু তয়োর্জ্ঞানে শক্তিং করোত্যপহস্তি বা।
ভবতি চ তয়োর্ভূয়ান ভেদঃ ফলং প্রতি তদ্ যথা
প্রভবতি শুচিবিম্বেদগ্রাহে মশিন মৃদাং,চয়।”

 ভাবার্থ—গুরু, সুবোধ এবং নির্ব্বোধ বিবিধ ছাত্রকেই সমভাবে বিদ্যা বিতরণ করেন; কিন্তু তদুভয়ের বুঝিবার শক্তি বাড়াইতে বা কমাইতে পারেন না। বিদ্যা-বিষয়ে যে পূর্ব্বোক্ত ছাত্রদ্বয় প্রভূত পার্থক্য প্রাপ্ত হন, ইহা বলা বাহুল্য। নির্ম্মল মণি প্রতিবিম্ব গ্রহণে সমর্থ হয়, মৃৎপিণ্ড কিন্তু হয় না।

 ঈশ্বরচন্দ্র যে সময় “ল কমিটির” পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, সেই সময় ত্রিপুর জেলায় জজ পণ্ডিতের পদ শূন্য হয়। তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া এই পদের জন্য প্রার্থনা করেন। প্রার্থনা পূর্ণ হইতে বিলম্ব হইল না; কিন্তু পিতা তাহাকে ত্রিপুরায় যাইতে নিষেধ করেন। পিতৃভক্ত পুত্রপিতার অনুরোধে আকাক্ষায় জলাঞ্জলি দিলেন। যে পিতার সংসারক্লেশ-লাঘবের জন্য তাঁহার এই পদপ্রার্থনা, সেই পিতা যখন তাহাকে নিষেধ করিতেছেন, তখন কি পিতৃপ্রাণ পুত্র তাহা অগ্রাহ্য করিতে পারেন? পিতা যে তাঁহার একমাত্র আরাধ্য দেবতা এবং মাতাই যে একমাত্র আরাধ্যা দেবী ছিলেন। তাও বটে; আর অদৃষ্টও তাঁহাকে অন্য পথে লইয়া যাইল না। আরও দুইটী বিদ্যা তাহার বাকি ছিল। দর্শনশাস্ত্র পড়া হয় নাই। তিনি জজ-পণ্ডিতের পদ না লইয়া বেদান্ত-শ্রেণীতে প্রবেশ করেন। সেই সময় শম্ভুচন্দ্র বাচস্পতি মহাশয় বেদান্তের অধ্যাপক ছিলেন। বেদান্ত পড়িবার সময় ঈশ্বরচন্দ্র গদ্যরচনায় সর্ব্বোচ্চ হইয়া ১০০ এক শত টাকা পুরস্কার পান। কষ্টের জীবনে দুঃখের অন্ত কি সহজে হয়? সকলেই ভগবানের পরীক্ষা বৈ তো নয়।

 পূর্ব্বে একবার বলা গিয়াছে, তৎকালে ঈশ্বরচন্দ্রের তৃতীয় ভ্রাতা শম্ভুচন্দ্র কলিকাতার বাসায় উপনীত হন। বাসায় একটা লোক বাড়িল; সুতরাং তাঁহার কার্য্যও বাড়িল। এতদুপরি মধ্যম পুত্র দীনবন্ধুর বিবাহ দিয়া ঠাকুরদাস বড় ঋণগ্রস্ত হইয়া পড়েন; কাজেই ব্যয়ের হ্রাস করিতে হইল। এই সময়ের ঘটনার উল্লেখ করিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় এক দিন আমাদিগের কোন বন্ধুর নিকট বলিয়াছিলেন,—“বাল্যকালে আমি অনেক কষ্ট পাইয়াছি; কিন্তু কোন কষ্টকেই এক দিনও কষ্ট বলিয়া ভাবি নাই; বরং তাহাতে আমার উৎসাহ-উদ্যম বৰ্দ্ধিত হইত; কিন্তু ভাইগুলির কোন কষ্ট দেখিলে আমার যে কি অন্তর্যাতনা হইত, তা আর কি ৰলিব!” বিশ্বপ্রেমিক বিদ্যাসাগরের পক্ষে ইহা বিচিত্র কি!

 যখন পিতা ঠাকুরদাস কলিকাতার বাসার ব্যয় কমাইয়া দেন, শুনিয়াছি, তখন বৈকালের জলখাবার জন্য আধ পয়সার ছোলা আনিয়া ভিজান হইত এবং আধ পয়সার বাতাসা আসিত। ঐ ভিজা ছোলার অর্ধেক আবার রাত্রিকালে আলু-কুমড়ার ব্যঞ্জন প্রস্তুত হইত। প্রাতে রাত্রিতে কুমড়ার ডালনায় পোস্ত দিয়া ছোলার ব্যঞ্জন হইত। ঈশ্বরচন্দ্র দুই বেলা পাক করিতেন। ভাই দুইটার পাতে তরকারী দিবার সময় তিনি চক্ষের জল সংবরণ করিতে পারিতেন না। এই সময় আহারের যেমন কষ্ট, আবার থাকিবার কষ্ট ততোধিক হইয়াছিল। ঠাকুরদাস ঋণগ্রস্ত, ইহার উপর আশ্রয়দাতা সিংহ-পরিবারও ঋণগ্রস্ত। ঠাকুরদাস পুত্রগুলিকে লইয়া তে-তলায় শয়ন করিতেন; কিন্তু জগদদুর্লভ বাবু তে-তলাটী, এক জনকে ভাড়া দেন; কাজেই পুত্রগুলিকে লইয়া ঠাকুরদাসকে নিয়ে একটী ভদ্র লোকের বাসের অযোগ্য জঘন্য গৃহে বাসা করিতে হয়। কঠোর পরীক্ষা।

 ইহাতেও ঈশ্বরচন্দ্র অকুণ্ঠিত। তিনি এই সময় ন্যায়দৰ্শন-শ্রেণীতে প্রবিষ্ট হন। মহাপণ্ডিত নিমচাঁদ শিরোমণি মহাশয় ন্যায়শাস্ত্রের অধ্যাপক ছিলেন।[২] ন্যায়দর্শনের দ্বিতীয় বৎসরের পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্দ্র সর্ব্বপ্রথম হইয়া ১০০ এক শত টাকা এবং কবিতারচনায় ১০০ এক শত টাকা পুরষ্কার পান। তিনি পাঁচ বৎসরে দর্শনশাস্ত্রের পাঠ সমাপ্ত করেন। আর কেহ ৮৷১০ আট দশ বৎসরে তাহা পরিতেন কি না সন্দেহ! প্রতিভা আর কাহাকে বলে? তদীয় ভ্রাতা শম্ভুচন্দ্র বলেন,—“যৎকালে তিনি দর্শন-শ্রেণীতে অধ্যয়ন করেন, তখন দেশে যাইলে অনেকের সহিত তাঁহার বিচার হইত। সকলেই তাঁহার সহিত বিচারে সন্তুষ্ট হইতেন। কুরাণ-গ্রামবাসী স্ববিখ্যাত দর্শনশাস্ত্রবেত্তা রামমোহন তর্কসিদ্ধান্তের সহিত তাঁহার প্রাচীন ন্যায় গ্রন্থের বিচার হয়। বিচারে তর্কসিদ্ধান্ত মহাশয়ের পরাজয় হয়। ইহা শুনিয়া পিতৃদেব তর্কসিদ্ধান্ত মহাশয়ের পদরজ লইয়া দাদার মন্তকে দেন।” এ বিষয়ের জন্য শম্ভুচন্দ্রের উপর নির্ভর করিতে হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী-সম্বন্ধে যে সকল মহোদয়ের নিকট হইতে অন্যান্য সকল বিষয়ের নিগূঢ় তত্ত্ব আমরা পাইয়াছি, তাঁহাদের সকলকেই এ কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছি; কিন্তু সদুত্তর পাই নাই। কেহ কেহ তর্কচ্ছলে বলিতে পারেন,—অগ্রজ-সম্বন্ধে তখনকার অনেক কথা পণ্ডিত শম্ভুচন্দ্রের মনে থাকিবারই সম্ভাবনা; অথচ কথাটা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ন্যায় তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও প্রতিভাশালীর পক্ষে অসম্ভবও নয়। আমরা কিন্তু বিপরীত ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করিতে পারিয়াছি। দর্শনবিদ্যায় তাহার যে রীতিমত পারদর্শিতা জন্মে নাই ও তাঁহাতে যে তাঁহার তাদৃশ প্রবৃত্তিও ছিল না, তাহার গল্প, বিদ্যাসাগর মহাশয় অনেক সময়ে অনেকের নিকট করিতেন।

 ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়। কলেজের পাঠ সমাপন করিলে, কলেজ হইতেই “বিদ্যাসাগর”[৩] উপাধি প্রাপ্ত হন। বিংশতি-বর্ষীয় যুবক—“বিদ্যাসাগর” এমন ভাগ্যবান এ সংসারে কয় জন? ব্যাকরণ, সাহিত্য, দর্শন, স্মৃতি প্রভৃতিতে বিশারদ হয়, বিংশতি বর্ষ বয়ঃক্রমে কয় জন? কি অপূর্ব্ব বুদ্ধি-বিক্রম। কলেজের অধ্যাপকমাত্রেই বিস্মিত! যিনি ব্যাকরণের অধ্যাপক, তিনি ভাবেন,—“আমি ধন্য “যিনি সাহিত্যের অধ্যাপক, তিনি বলেন,—“আমার অধ্যাপনা সার্থক!” যিনি দর্শন স্মৃতির অধ্যাপক, তিনি মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন,— “ঈশ্বরচন্দ্র নিশ্চিতই অসাধারণ-শক্তিসম্পন্ন।” প্রত্যেকেই প্রত্যেক শাস্ত্রের প্রশংসাপত্র প্রদান করেন। প্রশংসাপত্রে সকল বিষয়ের ও তত্তদ্বিবিষয়ক অধ্যাপকের অভিমতি একত্র সমাবেশ দেখিতে পাইবেন, “বিদ্যাসাগর” উপাধি-লিখিত প্রশংসাপত্রে। এই পত্র, কলেজের তদানীন্তন অধ্যক্ষ—রসময় দত্তের স্বাক্ষরিত। ১৭৬৩ শকের (১২৪৮ সালের) ২০শে অগ্রহায়ণের বা ১৭৪১ খৃষ্টাব্দের ১০ই ডিসেম্বরের প্রদত্ত উক্ত পত্রের অনুলিপি এই—

 “অস্মাভিঃ শ্রীশ্রীঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রশংসাপত্রং দীয়তে। অসৌ কলিকাতায়াং শ্রীযুতকোম্পানীসংস্থাপিতবিদ্যামন্দিরে দ্বাদশ বৎসরান পঞ্চ মাসাশ্চোপস্থায়াধোলিখিতশাস্ত্রাণ্যধীতবান।

ব্যাকরণম্............... শ্রীগঙ্গাধর শর্ম্মভিঃ
কাব্যশাস্ত্রম্...............শ্রীজয়গোপাল শর্ম্মভিঃ
অলঙ্কারশাস্ত্রম্‌............শ্রীপ্রেমচন্দ্র শর্ম্মভিঃ
বেদান্তশাস্ত্রম্........ ... শ্রীশভুচন্দ্র শর্ম্মভিঃ
ন্যায়শাস্ত্রম্............ ...শ্রীজয়নারায়ণ শর্ম্মভিঃ
জ্যোতিঃশাস্ত্রম্......... ...শ্রীযোগধ্যানশর্ম্মভিঃ
ধর্ম্মশাস্ত্রঞ্চ.......... ... ..শ্রীশম্ভুচন্দ্র শর্ম্মভিঃ

সুশীলতয়োপস্থিতন্যৈতন্যৈতেষু শাস্ত্রেষু সমীচীনা ব্যুৎপত্তি রজনিষ্ট।
১৭৬৩ এতচ্ছকাব্দীয় সৌরমার্গশীর্ষ বিংশতিদিবসীয়ম্।

(Sd.) “Rasamoy Dutta, Secretary.
to Decr. 1841”

 ঈশ্বরচন্দ্র দুই মাস ৫০ পঞ্চাশ টাকা বেতনে ব্যাকরণের দ্বিতীয় শ্রেণীর অধ্যাপক হইয়াছিলেন। এই টাকায় পিতা ঠাকুরদাস গয়া তীর্থ পর্য্যটন করিয়া আসেন। এই দুই মাস কাল মাত্র উহার অধ্যাপনাপরিপাটী দেখিয়া অন্যান্য অধ্যাপক ও ছাত্রবর্গ মুগ্ধচিত্তে তাঁহার সর্ব্বতোমুখী প্রতিভা স্বীকার করেন।

  1. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনের পূর্ব্বে সদর কোর্টের (এখনকার হাইকোর্ট) উকিল হইতে হইলে “ল” কমিটির পরীক্ষা দিতে হইত। “ল” কমিটি সদর কোটের অন্তর্গত ছিল। এ কমিটির অস্তিত্ব এখনও লো পায় নাই। কমিটি এখন “প্লিডারসিপ ও “মোক্তারসিপ পরীক্ষা গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৮৫৯ খৃষ্টাব্দে। ঐ বৎসর হইতে “ল একজামিনেসনের” প্রতিষ্ঠা হয়। অতঃপর নিয়ম হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে “ল” পাশ দিলে, তবে সদর কোর্টের উকিল হইবে; কমিটিতে পরীক্ষা হইবে না তদবধি কমিটি “প্লিডারশিপ” ও 'মোক্তারশিপ' পরীক্ষা করিতেছেন। পূর্ব্বে প্রত্যেক জিলার যথাশাস্ত্র ব্যবস্থা দিবার জন্য একজন ধর্ম্মশাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত নিযুক্ত ছিলেন। উহারা সচরাচর আদালতের জজ পণ্ডিত বলিয়া অভিহিত হইতেন।
  2. এই সময়ে এই নিমচাঁদ শিরোমণির মৃত্যু হওয়ার পর ঈশ্বরচত্রের চেষ্টায় পণ্ডিত জয়নারায়ণ তর্করত্ন তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত হল। ইহা পাঠ্যব্যবস্থারও প্রতিপত্তিপরিচায়ক।
  3. বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভ্রাতা শম্ভুচন্দ্রের মতে “১৮৪৬ খৃষ্টাব্দের শেষে পাঠ্যাবস্থা শেষ করিয়া সংস্কৃত কলেজ পরিত্যাগ সময়ে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকগণ অগ্রজ মহাশয়কে বিদ্যাসাগর উপাধি প্রদান করিল। ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দ নিশ্চিতই ভুল; কেননা, তিনি সংস্কৃত কলেজ পরিত্যাগ করিয়া, ১৮৪১ খৃষ্টাব্দে ফোর্টউইলিয়ম কলেজে প্রথম চাকুরি করেন।