পাতা:শেষের কবিতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Jdebabrata (আলোচনা | অবদান) |
Integrity2020 (আলোচনা | অবদান) Formatting with WiKi markup reducing unnecessary character repetition |
||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
চক্রবর্তী। এইবার ভর করে আমার |
চক্রবর্তী। এইবার ভর করে আমার ’পরে-বাণী দাও, বাণী দাও।’ |
||
{{block center/s}} |
|||
<poem> |
<poem> |
||
বেরোল লম্বা সরু খাতাটা, নিবারণ চক্রবর্তী বলে গেল— |
|||
::পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি |
|||
::আমরা দুজন চলতি হওয়ার পন্থী। |
|||
:::::রঙিন নিমেষ ধুলার দুলাল |
|||
:::::পরানে ছড়ায় আবীর গুলাল, |
|||
:::::ওড়না ওড়ায় বর্ষার মেঘে |
|||
:::::::দিগঙ্গনার নৃত্য, |
|||
:::::হঠাৎ-আলাের ঝলকানি লেগে |
|||
:::::::ঝলমল করে চিত্ত। |
|||
::নাই আমাদের কনকচাঁপার কুঞ্জ, |
|||
::বনবীথিকায় কীর্ণ বকুলপুঞ্জ। |
|||
:::::হঠাৎ কখন সন্ধেবেলায় |
|||
:::::নামহারা ফুল গন্ধ এলায়, |
|||
:::::প্রভাতবেলায় হেলাভর করে |
|||
:::::::অরুণ মেঘেরে তুচ্ছ |
|||
:::::উদ্ধত যত শাখার শিখরে |
|||
:::::::রডােডেন্ড্রন্গুচ্ছ। |
|||
::নাই আমাদের সঞ্চিত ধনরত্ন, |
|||
::নাই রে ঘরের লালনললিত যত্ন। |
|||
</poem> |
</poem> |
||
{{block center/e}} |
০৮:৫৩, ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চক্রবর্তী। এইবার ভর করে আমার ’পরে-বাণী দাও, বাণী দাও।’
বেরোল লম্বা সরু খাতাটা, নিবারণ চক্রবর্তী বলে গেল—
পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি
আমরা দুজন চলতি হওয়ার পন্থী।
রঙিন নিমেষ ধুলার দুলাল
পরানে ছড়ায় আবীর গুলাল,
ওড়না ওড়ায় বর্ষার মেঘে
দিগঙ্গনার নৃত্য,
হঠাৎ-আলাের ঝলকানি লেগে
ঝলমল করে চিত্ত।
নাই আমাদের কনকচাঁপার কুঞ্জ,
বনবীথিকায় কীর্ণ বকুলপুঞ্জ।
হঠাৎ কখন সন্ধেবেলায়
নামহারা ফুল গন্ধ এলায়,
প্রভাতবেলায় হেলাভর করে
অরুণ মেঘেরে তুচ্ছ
উদ্ধত যত শাখার শিখরে
রডােডেন্ড্রন্গুচ্ছ।
নাই আমাদের সঞ্চিত ধনরত্ন,
নাই রে ঘরের লালনললিত যত্ন।
৩৫