পাতা:গৌড়লেখমালা (প্রথম স্তবক).djvu/১২২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
বট পরিষ্কার করছে, কোন সমস্যা?
বট পরিষ্কার করছে, কোন সমস্যা?
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত PAWS [2.1]
পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:

{{smallrefs}}
{{c|১০৪}}
{{c|১০৪}}

১৪:০৪, ১০ নভেম্বর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মহীপালদেব-প্রস্তরলিপি।

[সারনাথ-লিপি।]
প্রশস্তি-পরিচয়।

 বারানসীর নিকটবর্ত্তী সারনাথ নামক সুবিখ্যাত বৌদ্ধ-তীর্থক্ষেত্রে যে সকল পুরাকীর্ত্তির নিদর্শন ক্রমে ভূগর্ভ হইতে আবিষ্কৃত হইতেছে, ১৭৯৪ খৃষ্টাব্দে তাহার প্রথম সন্ধান প্রাপ্ত হওয়া যায়।আবিষ্কার-কাহিনী। সেই বৎসরে, একটি বুদ্ধমূর্ত্তির পাদপীঠে, এই প্রস্তর-লিপিটি ক্ষোদিত থাকা দেখিতে পাওয়া গিয়াছিল। ১৭৯৮ খৃষ্টাব্দে জোনাথন্ স্কট্‌ তাহার বিবরণ এসিয়াটিক্ সোসাইটির পত্রিকায়[১] প্রকাশিত করেন। তাহার পর, এই লিপিটি বহুবার মুদ্রিত ও আলোচিত হইয়াছে।

 এই প্রস্তর-লিপির অক্ষরগুলি সুদৃশ্য এবং সুস্পষ্ট বলিয়াই কথিত হইতে পারে। তথাপি এই লিপির প্রকৃত পাঠ কি, তদ্বিষয়ে নানা তর্কবিতর্ক প্রচলিত হইয়াছিল। ডাক্তার হুল্‌জ্ কর্ত্তৃকপাঠোদ্ধার-কাহিনী। উদ্ধৃত পাঠই[২] এক্ষণে প্রকৃত পাঠ বলিয়া স্থিরীকৃত হইয়াছে। এই প্রস্তর-লিপির প্রতিকৃতি সংযুক্ত একটি পাঠ ডাক্তার ভোগেল্ কর্ত্তৃক মুদ্রিত হইয়াছে;[৩] এবং যে পাদপীঠে এই প্রস্তর-লিপি খোদিত আছে, তাহারও একটি প্রতিকৃতি প্রকাশিত হইয়াছে। মূল-লিপি লক্ষ্ণৌ নগরের যাদুঘরে রক্ষিত হইতেছে।

 অনেকেই এই প্রস্তর-লিপির ব্যাখ্যা-কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। ইহাতে ১০৮৩ সম্বৎ [১০২৬ খৃষ্টাব্দ] উল্লিখিত থাকায়, তদ্বারা কাল-নির্ণয়ের সুযোগ প্রাপ্ত হইয়া, বহু লেখক এই প্রস্তর-লিপিরব্যাখ্যা-কাহিনী। উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। ডাক্তার হুল্‌জ্ যে ব্যাখ্যা প্রকাশিত করিয়াছিলেন, তাহাতে কষ্ট-কল্পনার অভাব ছিল না। ডাক্তার ভোগেল্, তাহা পরিহার করিয়া, একটি মূলানুগত ব্যাখ্যা প্রকাশিত করিবার চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু তাঁহার ব্যাখ্যাও সর্ব্বাংশে মূলানুগত হইয়াছে বলিয়া বোধ হয় না।

 মূললিপি দুইটি পংক্তিতে বিন্যস্ত। সংস্কৃত ভাষানিবদ্ধ “ওঁ নমো বুদ্ধায়” এই মঙ্গলাচরণের পর, ইহাতে চারিটি কবিতা উৎকীর্ণ রহিয়াছে। তৃতীয় পংক্তিতে কেবল সন তারিখ। চতুর্থ-পঞ্চমলিপি-পরিচয়। পংক্তিতে “যে ধর্ম্মো” মন্ত্র। যে পাদপীঠে এই লিপি উৎকীর্ণ হইয়াছিল, তাহার শ্রীমূর্ত্তি বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে; কেবল পাদপদ্ম ও পাদপীঠস্থ ধর্ম্মচক্রাদির চিহমাত্রই বর্ত্তমান আছে।

১০৪

  1. Asiatic Researches, Vol. V, p. 131.
  2. Indian Antiquary, Vol. XIV, p. 139.
  3. A. S. R. of 1903-4, p. 222.