পাতা:শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

০০:৫০, ১১ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বির্তীর গুtখ্যার । శిa করিয়াছিলেন । কিন্তু কৃষ্ণ যুদ্ধে অপ্রবৃত্ত হইলেও তিনি পরম ধৰ্ম্মজ্ঞ, সুতরাং এ স্থলে ধৰ্ম্মের পথ কোনটা তাহ অর্জুনকে বুঝাইতে বাধ্য। অতএব অর্জুনকে বুঝাইতেছেন, যে যুদ্ধ করাই এখানে ধৰ্ম্ম, যুদ্ধ না করাই অধৰ্ম্ম । বাস্তবিক যে, যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধারম্ভসময়ে কৃষ্ণাৰ্জুনে এই কথোপকথন হুইয়াছিল, ইহা বিশ্বাস করা কঠিন । কিন্তু গীতাকার এইরূপ কল্পনা করিয়া কৃষ্ণ প্রচারিত ধৰ্ম্মের সার মৰ্ম্ম সঙ্কলিত করিয়া মহাভারতে সন্নিবেশিত করিয়াছেন, ইহা বিশ্বাস করা যাইতে পারে । যুদ্ধে প্রবৃত্তিস্থচক যে সকল উপদেশ স্ত্রীকৃষ্ণ অৰ্জ্জুনকে দিতেছেন, তাহ। এই দ্বিতীয় অধ্যায়েই আছে। অন্তান্ত অধ্যায়েও “যুদ্ধ কর” এইরূপ উপদেশ দিয়া ভগবান মধ্যে মধ্যে আপনার বাক্যের উপসংহার করেন বটে, কিন্তু সে সকল বাক্যের সঙ্গে যুদ্ধের কৰ্ত্তব্যতার বিশেষ কোন সম্বন্ধ নাই । ইহাই বোধ হয়, যে যে কৌশলে গ্রন্থকার এই ধৰ্ম্মব্যাখ্যার প্রসঙ্গ মহাভারতের সঙ্গে সম্বন্ধ করিয়াছেন, তাহার অপ্রকৃতত পাঠক অনুভূত করিতে না পারেন, এই জন্ত যুদ্ধের কথাটা মধ্যে মধ্যে পাঠককে স্মরণ করিয়া দেওয়া হইয়াছে। নতুবা যুদ্ধপক্ষ সমর্থন এই গ্রন্থের প্রকৃত উদ্দেশু নহে । যুদ্ধপক্ষ সমর্থনকে উপলক্ষ্য করিয়া সমস্ত মনুষ্যধৰ্ম্মের প্রকৃত পরিচয় প্রচারিত করাই ইহাঁর উদ্দেশু। এই কথাষ্ট বিশেষ করিয়া আলোচনা করিলে, বোধ হয় পাঠক মনে মনে বুঝিবেন যে যুদ্ধক্ষেত্রে উভয় সেনার সম্মুখে রথ স্থাপিত করিয়া, কৃষ্ণাৰ্জ্জুনে যথার্থ এইরূপ কথোপকথন খে