ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী/১৯
(১৯)
ইমন কল্যাণ।
বার বার সখি বারণ করনু
ন যাও মথুরা ধাম!
বিসরি প্রেম দুখ, রাজভোগ যথি[১]
করত হমারই শ্যাম।
কি কহলি রসন? হমারই শ্যাম সো?
কি বুঝলি পাগল প্রাণ?
অব তক[২] ঘুচল ন ভাঁতি[৩] তুয়া মন!
সো কি হমারই শ্যাম?
শত শত দেশ পদানত যিনকো[৪]
শত শত মানুখ দাস,
শত শত রাজা রোষ-কটাখে
মনমে মানে তরাস,
দুখিনী গোপিনী, হম অবলা সখি,
সোকি হমারই শ্যাম?
বোল ত সজনি, মথুরা-অধিপতি
সোকি হমারই শ্যাম?
ধনকো শ্যাম সো, মথুরা পুরকো,
রাজ্য মানকো হোয়,
নহ পীরিতিকো, ব্রজ কামিনীকো,
নিচয় কহনু ময় তোয়।
ন যাও সজনী মথুরা নগরে
ভেটইতে সো শ্যাম,
সমরাইও না[৫] সখি, শামক মনমে
দুখিনী হমার নাম।
বাত রাখ মঝু[৬] নিতান্ত সহিলো
মথুরা পুর জনি[৭] যাহ,
দূর সঙে তু পেখিও শ্যামক[৮]
কৈছন আছয় নাহ।[৯]
জনি সখি দেখ সো, মনকে হরখে
করত মুখে পুর-বাস,
শপতি হমার লো, তব্ সখি ন যাও
মথুরা পতিকো পাশ।
জনি দেখো তুঁহুঁ সোবি সহত সখি
দাৰুণ বিরহক জ্বালা,
তব্ সখি সঁপিও শ্যামক চরণে
ইহ বন-কুসুমক মালা!
কহিও, রাধা, দুখিনী রাধা—
মথুরা-অধিপতি কান,