য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র/দ্বিতীয় পত্র

উইকিসংকলন থেকে

দ্বিতীয় পত্র

আমি ইংলন্‌ড্‌ দ্বীপটাকে এত ছোটো ও ইংলন্‌ডের অধিবাসীদের এমন বিদ্যালোচনাশীল মনে করেছিলেম যে, ইংলন্‌ডে আসবার আগে আমি আশা করেছিলেম যে এই ক্ষুদ্র দ্বীপের এক প্রান্ত থেকে আর-এক প্রান্ত পর্যন্ত বুঝি টেনিসনের বীণাধ্বনিতে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে; মনে করেছিলেম, এই দুই-হস্ত-পরিমিত ভূমির যেখানে থাকি-না কেন, গ্ল্যাড্‌স্টোনের বাগ্মিতা, ম্যাক্স্‌মূলরের বেদব্যাখ্যা, টিন্‌ড্যালের বিজ্ঞানতত্ত্ব, কার্লাইলের গভীর চিন্তা, বেনের দর্শনশাস্ত্র শুনতে পাব; মনে করেছিলেম, যেখানে যাই-না কেন, intellectual আমোদ নিয়েই আবালবৃদ্ধবনিতা বুঝি উন্মত্ত। কিন্তু, তাতে আমি ভারী নিরাশ হয়েছি। মেয়েরা বেশভূষায় লিপ্ত, পুরুষেরা কাজকর্ম করছে, সংসার যেমন চলে থাকে তেমনি চলছে―কেবল রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে যা-কিছু কোলাহল শোনা যায়। তুমি যদি কোথাও গেলে তো মেয়েরা জিজ্ঞাসা করবে, তুমি ballএ গিয়েছিলে কি না, কন্সর্ট্‌ কেমন লাগল, থিয়েটরে একজন নতুন actor এয়েছে, কাল অমুক জায়গায় ব্যান্‌ড, হবে ইত্যাদি। পুরুষেরা বলবে, আফগান-যুদ্ধের বিষয় তুমি কী বিবেচনা কর?―Marquis of Lorneকে লন্‌ডনীয়েরা খুব সমাদর করেছিল, আজ দিন বেশ ভালো, কালকের দিন বড় miserable ছিল।―এদের মেয়েতে মেয়েতে যেসব গল্প চলে তা শুনলে তোমার ভারী মজা মনে হবে। একটি কুশ্রী বালিকার সঙ্গে একটি ধনী ব্যারিস্টরের বিয়ে হওয়াতে, তাই নিয়ে একটি স্ত্রীসভায় যে সমালোচনাটা চলছিল তা শুনে আমার চক্ষুস্থির হয়ে গিয়েছিল। কুশ্রী মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে এ দেশের মেয়েদের প্রাণে বোধ হয় বড়ো আঘাত লাগে, মাতৃশ্রেণীর মধ্যে ভারী চোক-টেপাটেপি পড়ে যায়, তাঁরা মনের যন্ত্রণায় আর কিছু করতে না পেরে আড়ালে আবডালে সে বেচারির প্রতি যথাসাধ্য বিদ্রূপের বাণ বর্ষণ করতে থাকেন। মাতৃদলের মধ্যে যাঁদের কুশ্রী মেয়ে আছে তাঁরা মনে করেন, অমুক মেয়েটার যদি অমন ভালো বিয়ে হয়ে গেল তবে আমার মেয়েরা কী অপরাধ করলে। যাঁদের সুশ্রী মেয়ে আছে তাঁরা মনে করেন, অমুক মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেল আর আমার মেয়েদের হল না! আর সাধারণ মিস্‌-শ্রেণীদের তো রাগে ঘৃণায় অভিমানে বুক ফেটে যায় যে বেচারির সৌভাগ্যক্রমে বিয়ে হয়ে গেছে, যেন তার কত অপরাধ! যাঁরা সেই কুশ্রী মেয়ের রূপ নিয়ে সমালোচনা করছিলেন তাঁদের মধ্যে একটি মেয়েও সুশ্রী ছিলেন না, পরের কুরূপ নিয়ে বিদ্রূপ করার অধিকার তাঁদের এক তিলও নেই। কাপড়-চোপড়, গয়নাপত্র, কার চোক টেরা, কার নাক মোটা, কার ঠোঁট পুরু, কার বা হাতের কড়ে আঙুলের নখের কোণ বাঁকা―এই-সব নিয়ে এখানকার মেয়েতে মেয়েতে ভারী হাসি-তামাসা চলে থাকে। আমার যতখানি অভিজ্ঞতা (যদিও খুব কম) তাতে তো আমি এই রকম দেখেছি। এ দেশের মেয়েরা পিয়ানো বাজায়, গান গায়, আগুনের ধারে আগুন পোয়ায়, সোফায় ঠেসান দিয়ে নভেল পড়ে, ভিজিটরদের সঙ্গে আলাপচারি করে ও আবশ্যক বা অনাবশ্যক-মতে যুবকদের সঙ্গে flirt করে এই তো আমার অভিজ্ঞতা। কিন্তু এ দেশের old maid শ্রেণীরা ভয়ংকর কাজের লোক। Temperance Meeting, Working Men's Society প্রভৃতি যত প্রকার অনুষ্ঠানের কোলাহল আছে, সমুদয়ের মূলে তাঁরা আছেন। পুরুষদের মতো তাঁদের আপিসে যেতে হয় না, মেয়েদের মতো তাঁদের ছেলেপিলে মানুষ করতে হয় না, এ দিকে হয়তো এত বয়স হয়েছে যে ‘বলে’ গিয়ে নাচলে বা flirt করে সময় কাটালে দশ জনে হাসবে, হাতে তাদের সময় অগাধ পড়ে রয়েছে―তাই জন্যে তাঁরা অনেককাজ করতে পারেন। বাস্তবিক তাতে অনেক উপকার হয়। বিদেশ থেকে আমরা এই মেয়েদেরই নাম বেশি শুনতে পাই―কিন্তু এদের থেকেই যদি সমস্ত বিলিতি মেয়েদের বিচার করতে যাও তবে হয়তো ভ্রমে পড়বে। এখানকার বিবিরা দর্জিশ্রেণীর জীবিকা, ফ্যাশান-রাজ্যের বিধাতা ও যুবকদলের খেলানাস্বরূপ। খেলানা আমি এই অর্থে বলছি যে, যখনি কারও সন্ধ্যের সময় একটু সময় কাটাবার আবশ্যক হল, দুই-একটি মিসের সঙ্গে হয়তো তিনি sentimental অভিনয় করে এলেন। পুরুষদের মন ভোলানোই মেয়েদের জীবনের একমাত্র ব্রত। যদি একজন পুরুষের মন ভোলাতে পারেন তবে মনে করলেন জীবনের একটা মহান্ লক্ষ্য সিদ্ধ হল, পূর্ব জন্মের অনেক তপস্যা সার্থক হল। মন-ভোলানো যজ্ঞে তাঁদের নিজের সুখ স্বাস্থ্য বলিদান দিতে তাঁরা কুণ্ঠিত নন, কোমর এঁটে এঁটে তারা বোলতার মতো কোমর করে তুলবেন―তার জন্যে তাঁরা সকল প্রকার যন্ত্রণা সহ্য করতে ও সকল প্রকার রোগ সঞ্চয় করতেও রাজি আছেন। বাহারে কাপড় প’রে মাথায় গোটা কতক পালক গুঁজে দিন রাত্রি তাঁরা পুতুলটি সেজে আছেন, অভিনয় করে করে এমন তাঁদের অভ্যেস হয়ে গেছে যে অস্বাভাবিকও তাঁদের স্বাভাবিক হয়ে গেছে। যে মেয়ের সাজসজ্জা সৌন্দর্য বাইরে থেকে খুব স্বাভাবিক ও অযত্নসাধ্য বলে মনে হয়, যাদের কথাবার্তার মাধুরীতে আয়াসের লক্ষণ দেখা যায় না, মনে হয় affectation আদবে জানে না, তারাই হয়তো পাকা affectation জানে। এমন হতে পারে যে, একজন মেয়ে হয়তো পুরুষের প্রেমে পড়েছে, সেই পুরুষের হৃদয় অধিকার করাই তাঁর মুখ্য উদ্দেশ্য, কিন্তু তাই ব’লেই যে তিনি নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকেন তা প্রায় দেখা যায় না। যেমন অনেক শিকারী খাবার জন্যে পাখি মারতে যায় না, তাদের বন্দুকের লক্ষ সিদ্ধ হল বলে আরাম পায়―হৃদয় অধিকার করতে এঁরাও সেই আরাম পান। আমি মন-ভোলাবার জন্য এ রকম হাব ভাব, হাত পা নাড়া, গলা সেধে সরু করা, মিষ্টভাবের হাসি বের করা দু চক্ষে দেখতে পারি নে। হাব ভাবে আমার মন বোধ হয় কেউ ভোলাতে পারে না। পুরুষদের মন ভোলানো যাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য সেই মেয়েদের দেখলে আমার বড়ো মায়া হয়―যেন তাদের নিজের একটা স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নেই। আমাদের দেশের মেয়েদের চেয়ে এ দেশের কী বেশি উন্নতি দেখছি জানো? না, এরা সাজগোজের শাস্ত্রে আমাদের চেয়ে বেশি ব্যুৎপত্তি লাভ করেছেন আর লেখাপড়া শিখেছেন―লেখাপড়া শিখেছেন অর্থে এখানে এই রকম বোঝাচ্ছে যে, নভেল পড়বার সময় এদের কখনো ডিক্সনারি খোলবার আবশ্যক হয় না। আমি মনে করতেম intellectual খাদ্যই এ দেশের লোকদের মনের একমাত্র খোরাক। আমি মনে করতেম, এ দেশের মেয়েরাও intellectual আমোদকেই প্রধান আমোদ মনে করে ও নাচ-তামাসাকে তার নীচে স্থান দেয়। যদিও এ দেশের মেয়েদের মধ্যে বিদ্যাচর্চা শুরু হয়েছে, কিন্তু সে এত অল্প যে তা কারও নজরেই আসে না। বিলেতে এসে আমি অনেক বিষয়ে নিরাশ হয়েছি। এখানে দ্বারে দ্বারে মদের দোকান। আমি রাস্তায় বেরোলে জুতোর দোকান, দর্জির দোকান, মাংসের দোকান, খেলনার দোকান রাশ রাশ দেখতে পাই, কিন্তু বইয়ের দোকান দুটো দেখতে পাই নে―আমি তো একেবারে আশ্চর্য হয়ে গেছি। আমাদের একটি শেলীর কবিতা কেনবার আবশ্যক হয়েছিল, কিন্তু কাছাকাছির মধ্যে বইয়ের দোকান না দেখে একজন খেলনাওয়ালাকে সেই বই আনিয়ে দিতে হুকুম করতে হয়েছিল। আমি আগে জানতেম, এ দেশে একটা কসাইয়ের দোকান যেমন দরকারী একটা বইয়ের দোকানও তেমনি।

 ইংলন্‌ডে এলে সকলের চেয়ে চোখে কী পড়ে জানো? লোকের ব্যস্তভাব। রাস্তা দিয়ে যারা চলে তাদের মুখ দেখতে মজা আছে ―বগলে ছাতি নিয়ে হু হু করে চলেছে, পাশের লোকদের ওপর ভ্রূক্ষেপ নেই, মুখে মহা ব্যস্ত ভাব প্রকাশ পাচ্ছে―সময় তাদের ফাঁকি দিয়ে না পালায় এই তাদের প্রাণপণ চেষ্টা। ইংলন্‌ডে যে কত রেলোয়ে আছে তার ঠিকানা নেই―সমস্ত লন্‌ডন-ময় রেলোয়ে, প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর এক-একটা ট্রেন যাচ্ছে। একটা রেলোয়ে স্টেশনে গেলে দেখা যায়, পাশাপাশি যে কত শত লাইন রয়েছে তার ঠিক নেই। লন্‌ডন থেকে ব্রাইটনে আসবার সময় দেখি―প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে উপর দিয়ে একটা, নীচে দিয়ে একটা, পাশ দিয়ে একটা, এমন চারি দিক থেকে হস্‌হাস্ করে ট্রেন ছুটেছে। সে ট্রেনগুলোর চেহারা দেখলে আমার লন্‌ডনের লোক মনে পড়ে―এ দিক থেকে, ও দিক থেকে, মহা ব্যস্তভাবে হাঁস্‌ ফাঁস্ করতে করতে চলেছে; এক তিল সময় নষ্ট করলে চলে না। দেশ তো এই এক রত্তি, ন’ড়ে চ’ড়ে বেড়াবার জায়গা নেই, দু পা চললেই ভয় হয় পাছে সমুদ্রে গিয়ে পড়ি। এখানে এত ট্রেন যে কেন ভেবে পাই নে! আমরা একবার লন্‌ডনে যাবার সময় দৈবাৎ ট্রেন মিস করেছিলেম, কিন্তু তার জন্যে বাড়ি ফিরে আসতে হয় নি―তার আধ ঘণ্টা পরেই আর-এক ট্রেন এসে হাজির।

 জীবিকার জন্যে এ দেশে যেমন যুঝাযুঝি এমন আর কোথাও দেখি নি। এ দেশের লোক প্রকৃতির আদুরে ছেলে নয়―কারুর নাকে তেল দিয়ে তাকিয়া ঠেসান দিয়ে বসে থাকবার যো নেই। একে তো আমাদের দেশের মতো এ দেশের জমিতে আঁচড় কাটলেই শস্য হয় না, তাতে শীতের সঙ্গে মারামারি করতে হয়। প্রথমতঃ শীতের উপদ্রবে এদের কত কাপড় দরকার হয় তার ঠিক নেই―তার পরে কম খেলে এ দেশে বাঁচবার যো নেই, শরীরে তাপ জন্মাবার জন্যে অনেক খেতে হয়। এ দেশের লোকের কাপড় কয়লা খাওয়া অপর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে চলে না, তার উপরে আবার মদ আছে। আমাদের বাঙলার খাওয়া নামমাত্র, কাপড় পরাও তাই। এ দেশে fittestরাই survive করে, এ দেশে যার ক্ষমতা আছে সেই মাথা তুলতে পারে, দুর্বল লোকদের এখানে রক্ষা নেই―একে প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়, তাতে কার্যক্ষেত্রে সহস্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা রোখারুখি করছে।

 এ দেশের ছোটোলোকদের দেখলে মনে হয় না তাদের কিছুমাত্র মনুষ্যত্ব আছে―তারা যেন পশু থেকে এক ধাপ উঁচু। তাদের মুখ দেখলে নিদেন তাদের মধ্যে এক-এক জনের মুখ দেখলে আমার কেমন গা শিউরে ওঠে। তাদের মুখ দেখে আর কেউ 'human face divine' বলতে পারে না, পশুত্বভাবব্যঞ্জক তাদের সেই লাল-লাল মুখ দেখলে কেমন ঘৃণা হয়। আর, তারা যে ময়লা তা আর কী বলব। এই সে দিন একটা পুলিসের মোকদ্দমা দেখছিলেম―একটা ছোটোলোকের ছেলে মজা দেখবার জন্যে একটা ঘোড়ার জিব টেনে ছিঁড়ে ফেলেছিল! এমন পশুত্ব কখনো শুনেছ?

 ক্রমে ক্রমে এখানকার দুই-একজন লোকের সঙ্গে আমার আলাপ হতে চলল। একটা মজা দেখছি, এখানকার লোকেরা আমাকে অতিদুগ্ধপোষ্য বালকের মতো মনে করে। মনে করে ইন্‌ডিয়া থেকে এসেছে, কিছু জানে না শোনে না, এ’কে দুচারটে জিনিস দেখিয়ে-শুনিয়ে বুঝিয়ে-শুঝিয়ে দেওয়া ভালো। এক দিন Dr.―এর ভাইয়ের সঙ্গে রাস্তায় বেরিয়েছিলেম, সে যে আমাকে বিরক্ত করে তুলেছিল তা আর বলবার কথা নয়। একটা দোকানের সুমুখে কতকগুলো ফোটোগ্রাফ ছিল―সে মনে করেছিল ফোটোগ্রাফ দেখে আমার একেবারে তাক লেগে যাবে, চক্ষু স্থির হয়ে যাবে―সে আমাকে সেইখানে নিয়ে গিয়ে ফোটোগ্রাফের মহা ব্যাখ্যান করতে আরম্ভ করে দিলে। সে আমাকে বুঝিয়ে দিলে যে, এক রকম যন্ত্র দিয়ে ঐ ছবিগুলো তৈরি হয়, মানুষে হাতে করে আঁকে না। আমার চার দিকে লোক দাঁড়িয়ে, আমার এমন লজ্জা করছিল। আমি তাকে বিশেষ করে বললেম যে, আমি ও খবরগুলি বিশেষ জানি। কিন্তু সে বিশ্বাস করবে কেন? একটা ঘড়ির দোকানের সামনে গিয়ে, ঘড়িটা যে একটা খুব আশ্চর্য যন্ত্র তাই আমার মনে সংস্কার জন্মাবার জন্যে চেষ্টা করতে লাগলেন। আমি তো তাঁর অনুগ্রহের জ্বালায় একেবারে জ্বালাতন হয়ে গিয়েছিলেম। একটা evening partyতে Miss―আমাকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, আমি এর পূর্বে পিয়ানোর ডাক শুনেছি কি না? এ দেশের অনেক লোক হয়তো পরলোকের একটা ম্যাপ এঁকে দিতে পারে, কিন্তু ভারতবর্ষের সম্বন্ধে যদি এক বিন্দুও খবর জানে! ভারতবর্ষের লোকেরা গোখাদক নয় শুনলে হয়তো তারা চার দণ্ড হাঁ করে থাকে―ইংলন্‌ড থেকে কোনো দেশের যে কিছু তফাত আছে তা তারা কল্পনাও করতে পারে না। ভারতবর্ষের কথা দূরে থাক্‌―সাধারণ লোকেরা কত বিষয় জানে না তার ঠিক নেই। এই মনে করো, প― ডাক্তারকে আমার শিক্ষক খুব educated man বলে সুখ্যাতি করে থাকেন, কিন্তু তিনি Shelley বলে যে একজন কবি তাঁদের দেশে জন্মেছিল সেই খবরটুকু মাত্র জানেন, কিন্তু শেলী যে চেঞ্চি (Cenci) ব’লে একখানা নাটক লিখেছেন বা তাঁর Epipsychidion ব’লে যে একটি কবিতা আছে তা আমার মুখে প্রথম শুনতে পেলেন!