সতীশচন্দ্র গুহঠাকুরতা (১৮৮৮ - জুলাই ১৯৬০) বরিশাল। সুপ্রসিদ্ধ গ্রস্থাগার-বিজ্ঞানী। জাতীয় শিক্ষা পরিষদ থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত হন। অসহযোগ আন্দোলনকালে শিক্ষকতা বৃত্তি ত্যাগ করে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। কিছুকাল দ্বারভাঙ্গার স্টেট লাইব্রেরীর গ্রস্থাধ্যক্ষ ছিলেন। বিহার বিদ্যাপীঠ এবং কাশী বিদ্যাপীঠের সঙ্গে তার সংযোগ ছিল। সংস্কৃত, বাংলা ও হিন্দী ভাষায় ব্যুৎপন্ন ছিলেন। শাস্তিনিকেতনের কলাভবনের সংগ্রহ-সচিবরূপে কিছুকাল কাজ করেন। ডিসেম্বর ১৯২৮ খ্রী' কলিকাতায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত গ্রন্থাগার পরিষদের সম্মেলনে প্রাচ্য দেশগুলির উপযোগী বগীকরণ-পদ্ধতি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে যে বিশেষ সমিতি গঠন করা হয় তাতে ড. রঙ্গনাথন, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় প্রভৃতির সঙ্গে তিনিও সদস্য নির্বাচিত হন। তার রচিত প্রাচ্য বগীকরণ পদ্ধতি, ১৯৩২ শ্রী এবং রঙ্গনাথনের লেখা “কোলন ক্লাসিফিকেশন' ১৯৩৩ ্বী- প্রকাশিত হয়। “পুস্তকের জাত বিচার" তার লেখা একটি সুচিস্তিত প্রবন্ধ।
এই লেখকের আংশিক বা সব রচনাগুলি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৩ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৩ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।