সত্যকিষ্কর গোস্বামী (১৮৯১ - ১৯:২-১৯৬০) কোন্দাগোবিন্দপুর-বর্ধমান। দোলগোবিন্দ। তার উর্ধবতন ১০ম পুরুষ ঘনশ্যাম গোস্বামী বৈষ্ণব ও শাক্ত সাধনার সমন্বয় সাধন করেন। তাই ঘনশ্যামের শ্রীপাট সম্বন্ধে প্রচলিত ছিল-_-নাড়াও নারে পাঠাও কাটে, দেখে এলাম কোন্দার পাটে'। সত্যকিক্কর পিতার নিকট ব্যাকরণ ও উখরায় কুঞ্জবিহারী চতুষ্পাঠীতে পণ্ডিত আশুতোষ স্মৃতিতীর্থের নিকট শিক্ষা লাভ করেন। ১৯১১ শ্রী. মূলাজোড় সংস্কৃত কলেজ থেকে কাব্যতীর্থ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে দীর্ঘদিন বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সংস্কৃতের প্রধান শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি বিলাতী দ্রব্য ও মাদক দ্রব্য বর্জনের এবং সূতা কাটা ও জাতীয় শিক্ষা-প্রচারে উৎসাহী ছিলেন। তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থের সংস্কৃতানুবাদ। সমগ্র গ্রন্থখানি মুদ্রিত করে ইউরোপ ও আমেরিকায় যেখানে যেখানে সংস্কৃত শিক্ষার ব্যবস্থা আছে সে-সব স্থানে বিতরণ করেন। “তরণী বিহার তার রচিত সংস্কৃত গীতি-কাব্য। পরিণত বয়সে তিনি মাতাজী সন্ম্যাসিনী শ্রীস্রীজ্ঞানানন্দ সরস্বতীর নিকট যোগ দীক্ষা এবং সন্ন্যাস দীক্ষা গ্রহণ করেন। নাম হয় স্বামী ভাস্করানন্দ সরস্বতী। শ্রীশ্রীজ্ঞানানন্দ সরম্বতীর জীবনী নামে তিনি বাংলা ভাবায় একা জ্ঞানগভ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।
এই লেখকের আংশিক বা সব রচনাগুলি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৩ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৩ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।