সিরাজদ্দৌলা (নাটক)/চতুর্থ অঙ্ক/পঞ্চম গর্ভাঙ্ক
(পৃ. ১৬৭-১৬৮)
পঞ্চম গর্ভাঙ্ক
গ্রাম্যপথ
সিরাজদ্দৌলার পরিচ্ছদে করিম
করিম। ক’দিন ধ’রেতো নবাবীটে কচ্ছি, আফিংও ফুরিয়ে এলো। না খেয়ে নবাবী চলে, কিন্তু আফিং বিরহে বড় প্যাঁচ! নবাব পাটনার দিকে গিয়েছে, আমি তো উল্টো দিকে চল্ছি। এমন জগ্জগে পোষাক দেখে কোন ব্যাটা সেলাম দেয় না, কেউ চেয়েও দেখে না! ওঃ এতবড় নবাবের ব্যাটা নবাব চলেছে, কেউ খোঁজ নিচ্ছে না বাবা! যাই, যারা নবাবকে খুঁজতে বেরিয়েছে, তাদের সাম্নে একবার পড়ি। নবাবকে ধরেছে বলে একটা গোল উঠ্লে, নবাব একটু নিশ্চিন্ত হ’য়ে পালাতে পার্বে। ঐ যে দু’ব্যাটা দেখ্ছে, আমি পালাবার মত ভাবটা করি।
প্রস্থান
দুইজন সৈনিকের প্রবেশ
১ম সৈন্য। চলো—চলো—ঐ নবাব ভাগ্তা হ্যায়, ওস্কো পাক্ড়ো, বহুৎ এনাম মিলেগা।
২য় সৈন্য। নেই ভাই, হাম্সে নেই হোগা, হাম রজপুত হ্যায়, বহুৎ রোজ নিমক খায়া! পাক্ড়নে হোয়, তোম্ যাকে পাক্ড়ো।
১ম সৈন্য। আরে উস্কো পাশ তলোয়ার হ্যায়, হামি একেলি পাক্ড়নে সেকেঙ্গি ক্যায়সে?
২য় সৈন্য। খুসী তোমারা, হাম চলে!
২য় সৈনিকের প্রস্থান
করিমের পুনঃ প্রবেশ
করিম। (স্বগত) এক ব্যাটা পালাল যে? (প্রকাশ্যে ১ম সৈনিকের প্রতি) ওহে আমি নবাব, আমায় লুকিয়ে রাখ্তে পারো?
১ম সৈন্য। আইয়ে জনাব,—আইয়ে, গরীবখানামে আইয়ে।
করিম। না বাবা, রায়দুর্লভ ওখানে আছে, তুমি খবর দেবে, আমি পালাই।
১ম সৈন্য। নেই জনাব, নেই জনাব—
করিমের প্রস্থান
হাম রাজা রায়দুর্লভকো খবর দে, বহুত এনাম মিলে গা।প্রস্থান