সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা/বাবর শা' ও মাকড়-শা
বাবর শা’ ও মাকড়-শা
বসেছিল ‘হিস্ট্রি’ নিয়া,
হঠাৎ হ’ল হিস্টিরিয়া,
উঠল পাকু কেঁপে,
আঁৎকে উঠে, কুঁচ্কে ভুরু,
আবোল-তাবোল বকতে সুরু,—
উঠল যেন ক্ষেপে।
দৌড়ে এল পাকুর দাদা,
বাবা, কাকা, ঠাকুরদাদা,
সবাই দিশেহারা;
হঠাৎ পাকুর কী হ’ল রে!
ঘুরল মাথা কেমন ক’রে?
ব্যাপার কেমনধারা?
কেউ ঢালে জল মাথায়-ঘাড়ে,
কেউ বা হাওয়া করছে তারে,
ব্যস্ত হ’ল সবে;
কারণ কিছুই যায় না বোঝা,
‘হিস্ট্রি’ সে তো বেজায় সোজা,
এমন কেন হবে?
“বাবর শাহ ইতিহাসে
আজকে ছিল পড়া ক্লাসে—”
পাকুর দাদা বলে,
“তাতেই বা কি ভয়ের অত,
ভালো ছেলে পাকুর মত
নাইকো তাদের দলে।”
হঠাৎ পাকু আঙুল দিয়ে
পুঁথির পানে দেয় দেখিয়ে,—
সবাই দেখে চেয়ে,
‘বাবর-শা’ নয়—ইতিহাসে
শুঁড় নাড়ে এক মাকড়শা সে
পুঁথির পাতা বেয়ে।
“বাবর শাহের পড়ার পাতে
ঠাঁই নিয়েছে মাকড়শাতে,
ফেললে বুঝি ছুঁয়ে।”
এই না ব’লে আবার ছেলে
পড়ার টেবিল উল্টে ফেলে’
ডিগবাজি খায় ভুঁয়ে॥