পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-তৃতীয় খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২৫২ করিয়া জজ আদালতে মোহরের নিযুক্ত হন ও মহাফেজের কাজ করিয়া শেষ কালে কাশী গমন করেন; ইহার পুত্র ও পৌত্ৰাদি জীবিত আছেন। পরগণা-সাতগাও ওম বংশ কথা খোয়াজ ওসমানের কৰ্ম্মচারী শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশে প্রসঙ্গক্রমে লিখিত হয় যে, পূৰ্ব্ব ময়মনসিংহের খোয়াজ খাঁ শ্রীহট্টের ইটাবিজেতা খোয়াজ ওসমান খাঁ হইতে অভিন্ন বলিয়া অনুমিত। এই অনুমান অমূলক নহে, খোয়াজ খাঁর অধিকৃত মুয়াজ্জমাবাদ রাজ্যের নামের অর্থবিচারেই তাহা বুঝা যায়। ইহার অর্থ পবিত্র স্থান; পূৰ্ব্ব হইতে হয়রত শাহ জলালের সাধন ও সমাধি ক্ষেত্র শ্রীহট্টই মোসলমানদের কেমাত্র তীর্থস্থান। মুয়াজ্জমাবাদের সীমা লাউড়রাজ্য পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। শ্রীযুক্ত কালীকিশোর ওম মহাশয়ের লিখিত যে বংশ বিবরণ শ্ৰীযুক্ত চন্দ্রকুমার ওম মহাশয় আমাদিগকে প্রেরণ করিয়াছেন,তাহাতে জানা যায় যে বঙ্গীয় দশম শতাব্দীর প্রথম ভাগে খোয়াজ ওসমান খাঁ পূৰ্ব্বাঞ্চলে আগমন করেন।” মযমনসিংহের খালিজুরী নিবাসী সাতানাথ ওমের পুত্রের নাম রঘুনাথ; কামাখ্যা ও মহেশনাথ; ইহারা খোয়াজ ওসমান খাঁর কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ইন্দ্রকুমার বাবু লিখিয়াছেন যে এই খোযাজ ওসমান ৯৬৩ হিঃ অব্দে (১৫৪৪ খৃস্টাব্দ) ইটার রাজা সুবিদনারায়ণকে পরাস্ত কবিয়া তথায় গড় ও বাড়ী প্রস্তুত করেন। এই যুদ্ধে সীতানাথের পুত্ৰগণ সহায়তা করায় সাতগাও উপত্যক প্রদেশে তাহারা জায়গীর প্রাপ্ত হন, এবং ময়মনসিংহ পরিত্যাগপূৰ্ব্বক জায়গীবপ্রাপ্ত ভূমে বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়া এথায় আসিয়া বাস করেন। সীতানাথের পুত্রত্ৰয পরে নবাব হইতে যথাক্রমে চৌধুরী, রায় ও লালা উপাধি প্রাপ্ত হন। সেইই স্থানে কামাখ্যা ও মহেশেব কৃত দীর্ঘিকাদ্বয “কামুবদীঘী” ও “মহেশনাথের দীঘী” নামে অদ্যাপি বৰ্ত্তমান আছে। দত্ত খা খণিত একটি দীর্ঘিকাও সেই স্থানে দেখতে পাওয়া যায়। সাধক নন্দকিশোর ওম বংশে ভাড়াউড়াব নন্দকিশোব বায একজন খ্যাতনামা ব্যক্তি, ইনি শৈব ছিলেন, এবং কামাখ্যাক্ষেত্রের সিদ্ধ মহাত্মা স্বগীয় পূর্ণানন্দ স্বামীর নিকট দীক্ষিত হইয়াছিলেন। র্তাহার ধৰ্ম্মনিষ্ঠা দর্শনে তদানীন্তন কালেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ ড্রমণ্ড র্তাহাকে বিশেষ শ্রদ্ধা করিতেন। মৃত্যুর অষ্টাহ পূৰ্ব্বে তিনি বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে অতি শীঘ্রই তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হইবেন। তিনি অনেকের নিকট একথা ব্যক্ত করিযাছিলেন। এই সময় তিনি ড্রমণ্ড সাহেবকে বলিয়া নিজ ভ্রাতৃপূজুক চাকুরী দেওয়াইয়া ছিলেন। তিনি যাহাকে যাহা বলিতেন, তাহাই ফলিয়া যাইত, তিনি বাক্যসিদ্ধ ছিলেন। নিৰ্ম্মাইশিবেব ১১. এই সমযে বঙ্গেব সিংহাসনে হুসেন শাহ ছিলেন। শেব শাহের সময়ে ইটা বিজিত হয়। ১২ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশ ২য ভাগ ২য় খণ্ড ৭/৮ অধ্যায়ে টীকা দ্রষ্টব্য।