অগ্নিীমন্ত্রে দীক্ষা |ył9 হইতে আমি অগ্নির পক্ষপাতী; অগ্নিীমন্ত্রেই আমার দীক্ষা। একটু ঠাণ্ডাভাব দেখিলেই মন দুড় দুড় করে। শরীরে হাত দিলেই ভিতরে জীবন কি মৃত্যু বুঝা যায়; আত্মাকেও দেখিবামাত্র তেমনই জীবিত কি মৃত জানিতে পারা যায়। আমি পাপী। কিনা বুঝিতে বরং সময় লাগে, কিন্তু জীবন আছে কিনা অতি সহজেই জানা যায়। কিসে? উত্তপ্ত কি শীতল দেখিলেই তাহ নিদ্ধারণ করা যায়। এই কারণেই প্রার্থনা করি, সাধন করি, কিসে আত্মা উত্তাপযুক্ত, সতেজ থাকে। অগ্নির ভিতরে জীবন থাকে বলিয়াই অগ্নিকে আমি বরণ করি, আলিঙ্গন করি ও অত্যন্ত ভালবাসিয়া থাকি। উত্তাপ দেখিলেই ভরসা হয়; আনন্দ হয়, উৎসাহ হয়। যদি দেখি, অগ্নির তেজ কমিতেছে, বুঝি, এবার এ লোক জলে ঝাপ দিয়া মরিবে। যদি দেখি পাঁচ বৎসরের উৎসাহের পর কেহ ঠাণ্ড হইতেছে, বুঝিয়া লই, এ লোক এবার পাপ করিতে চলিল, এবার মৃত্যু আসিয়া ইহার ঘাড় ধরিবে। এই জন্যই উত্তাপবিহীন অবস্থাকে অপবিত্র অবস্থা মনে করিতাম। যেদিন প্রাতঃকালে অগ্নিমস্ত্রে দীক্ষিত না হইয়া শয্যা হইতে উঠিতাম, মৃত্যু ভাবিতাম। নরক ও শীতল ভাব, আমি একই মনে করিতাম। কি মনের চারিদিকে, কি সামাজিক অবস্থার চারিদিকে, সততই উৎসাহের অগ্নি জালিয়া রাখিতাম। একদলের কাছে সেবা করিালাম, আর একটি দল কবে হইবে; দশটী দল প্রস্তুত করিলাম, আর দশটী দল কবে প্রস্তুত করিব, ইহারই জন্য ব্যগ্র থাকিস্তাম। এক বিভাগে কাজ করিতাম, আর এক বিভাগে কবে কাজ করিব; কতকগুলি লোকের সঙ্গে আলাপ করিলাম, আর কতকগুলি -লোকের সঙ্গে কিসে আলাপ করিতে পাইব; কতকগুলি শাস্ত্র