হেমচন্দ্র ও মধুসূদন B 3\Չ অনেক দিন পরে, মধুসূদনের ‘স্বৰ্গারোহণে” হেমচন্দ্র যে দুঃখ প্রকাশ করেন, তাহাতেও সেই ভাব প্রকটিত হয়:- “হবে কি সেদিন, ५ cशोफु-भार পূরিবে তোমার আশা? বুঝিবে কি ধন - দিয়াছ ভাণ্ডারে, উজ্জ্বল করিয়া ভাষা।” কিন্তু হেমচন্দ্র মধুসূদনের এরূপ ভক্ত, এরূপ গোড়া, এরূপ শিষ্যানুকল্প হইয়াও ‘মিতাক্ষর’ গ্রহণ করেন নাই। কেন করেন। নাই, তিনি জানেন। ভাল করিয়াছেন, কি মন্দ করিয়াছেন এখন আমি বলিতে পারিব না। তবে একটা কথা প্রসঙ্গত বলিয়া রাখি, যদি ‘মিতাক্ষর” কেবল নিগড়-বন্ধন-মোচনের জন্য প্রকাশিত হইয়া থাকে, তবে সেটা কিছু মহাদুদ্দেশ্য-সাধন নহে। চুড়, বলয়, অনন্ত—এগুলি ত নিগড় বটে। বাহুলতা বহিয়া রূপ খসিয়া খসিয়া পড়ে, তাই বলয়-চুড়-অনন্ত-বন্ধনে বাধিয়া রাখিতে হয়। ভাল জিজ্ঞাসা করি, তাহাতে শোভা বাড়ে, না কমে? তালও তা সুরের নিগড়। ঐ নিগড় ভাঙ্গিলেই কি ভাল? তা নয়। দশরূপ নিগড়েই মনুষ্যত্ব। দশরূপ নিগড়েই কবিত্ব। নিগড়েই সৌন্দর্য্যের বিকাশ ও বৃদ্ধি। ছন্দে উঠে রবি-শশী। ছন্দ ত নিগড়। নিগড় সৌর জগতে; নিগড় কাব্য জগতে। নিগড়-ছেদনই আমাদের উদ্দেশ্য নহে। যে কারণেই হউক হেমচন্দ্র মধুসূদনের মিতাক্ষর গ্রহণ করেন। নাই। তবে মধুসূদনের কবিত্ব তিনি বিশেষ আয়ত্ত করিয়াছিলেন। কবি যেমন আর একজন কবিকে আয়ত্ত করেন, আমরা তেমন