কাব্যের উপেক্ষিতা। RSS বালুতটের মত-কেমন করিয়া তাহ রক্ষা পায়? নবযৌবন কুমারকুমারীর মধ্যে অনাদিকালের যে চিরন্তন প্রবল আকর্ষণ আছে তাহা দুই দিক হইতেই এই সঙ্কীর্ণ বাধাটুকুকে ক্ষয় করিয়া লঙ্ঘন করে না কেন? কিন্তু কবি সেই অনাথ রাজকন্যাকে চিরদিনই এই অপ্রশস্ত আশ্রয়ের মধ্যে বসাইয়া রাখিয়াছেন, এই গণ্ডীর রেখামাত্র বাহিরে তাহাকে কোনো দিন টানেন নাই। হতভাগিনী বন্দিনীর প্রতি কবির ইহা অপেক্ষা উপেক্ষা আর কি হইতে পারে? একটি সুক্ষ্ম যবনিকার আড়ালে বাস করিয়াও সে আপনার স্বাভাবিক স্থান পাইল না। পুরুষের হৃদয়ের পার্থে সে জাগিয়া রহিল, কিন্তু ভিতরে পদাৰ্পণ করিল না। কোনো দিন একটা অসতর্ক বসন্তের বাতাসে। এই সখীত্ব-পর্দার একটা প্রান্তও উড়িয়া পড়িল না! অথচ সখীত্বের মধ্যে লেশমাত্র অন্তরাল ছিল না। কবি বলিতেছেন পত্রলেখা সেই প্রথম দিন হইতে চন্দ্রাপীড়ের দর্শনমাত্রেই সেবারসসমুপজাতানন্দ হইয়া দিন নাই। রাত্রি নাই উপবেশনে উৎখানে ভ্রমণে ছায়ার মত রাজপুত্রের পার্থ পরিত্যাগ করিল না। চন্দ্রাপীড়েরও তাহাকে দেখা অবধি প্রতিক্ষণে উপচীীয়মানা মহতী গ্রীতি জন্মিল। প্রতিদিন ইহার প্রতি প্রসাদ রক্ষা করিলেন এবং সমস্ত বিশ্বাসকার্য্যে ইহাকে আত্মহৃদয় হইতে অব্যাতিরিক্ত মনে করিতে লাগিলেন। এই সম্বন্ধটি অপূর্ব্ব সুমধুর, কিন্তু ইহার মধ্যে নারী-অধিকারের পূর্ণতা নাই। নারীর সহিত নারীর যেরূপ লজ্জাবোধহীন সখীসম্পর্ক থাকিতে পারে পুরুষের সহিত তাহার সেইরূপ অসঙ্কোচ অনবচ্ছিন্ন নৈকট্যে পত্রলেখার নারী-মর্য্যাদার