V8 হিন্দুসমাজ ও কুপমণ্ডুকতা · যজ্ঞাদি ক্রিয়ার অনুষ্ঠান হুইয়া থাকে। মুসলমান ইতিবৃত্তেও দৃষ্ট হয় যে, সিন্ধুদেশ হইতে বাঙ্গালা পর্যন্ত ভারতবর্ষের সমুদয় উপকুলভাগের লোক সামুদ্রিক বাণিজ্য করিত। আরব বোম্বেটিয়াদিগের দৌরাত্ম্যেই ঐ বাণিজ্য শৃঙ্খলাবিচ্ছিন্ন এবং বিলুপ্ত হইয়া যায়। আবার ভারতে সামুদ্রিক বাণিজ্য প্রবর্ত্তিত হইয়াছে এবং যদিও এদেশীয়দিগের মধ্যে সেই বাণিজ্য-কার্য্যে মুসলমানেরাই প্রধান, তথাপি হিন্দু জাতীয় বিভিন্ন শ্রেষ্ঠ সম্প্রদায়ও নিতান্ত পশ্চাৎপদ নহে। মান্দ্রাজ অঞ্চলের ‘ন্যান্ডগোট” নামক স্থানের চেটী বা শ্রেঢ়ীরা যাবৰীপের সহিত বাণিজ্যে যথেষ্ট লাভ করিয়া থাকেন। মাদুরাধিষ্ঠাত্রী দেবী “মিনাচি” বা “মীনাক্ষীর” নামে তাহদের ষ্টীমারের নামকরণ হইয়াছে। সমুদ্রগমনে জাতিপাত যদিও লোকের মুখে শুনিতে পাওয়া যায় বটে, কিন্তু লোকের আচারে তাহা দেখিতে পাওয়া যায় না বলিলেই হয়। অতি বিচক্ষণ কোন একটী মহারাষ্ট্রীয় ব্রাহ্মণকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম, “আপনার স্বজাতীয় বিলাতফেরৎদিগের সহিত কিরূপ ব্যবহার করেন?” তিনি বলিলেন, “আমরা ও-বিষয় লইয়া কোন বিচার-বাহুল্য করি না। যিনি বিলাত হইতে আসিলেন, তিনি বিনা আড়ম্বরে প্রায়শ্চিত্ত ও কেশাদি সংস্কার করিয়া কয়েকদিন পরে স্বজাতীয় পরিচ্ছদ ধারণ করিয়া আত্মীয় স্বজনের সহিত দেখা সাক্ষাৎ করেন, তাহাদিগের স্বজনেরাও তাহাদিগের বাটীতে যান। চলন বলন দেশীয় রীতিক্রমেই হয়; ক্রমে তাহাকে দুই একটী ক্ষুদ্রভোজে নিমন্ত্রণ করি, তিনি আসিয়া ভোজনাদি করিয়া যান। অনন্তর বৃহৎ বৃহৎ ভোজাদিতে তাহার নিমন্ত্রণ চলে, এবং পরিশেষে তিনি নিমন্ত্রণ করিলে সকলে গিয়া তাহার বাটীতে ভোজন করি। আমাদের