ভাগবত—দ্বিজ পরশুরাম–১৭শ শতাব্দী। ১০৭ এখানেতে ছিল মোর খড়ের কুড়্যাখানি। তোমার সম্পদ সব ঘরে আইস তুমি ৷ তখন সুদাম বিপ্র বুঝিলা নিশ্চয়। এ সব সম্পদ দিল কৃষ্ণ মহাশয়॥ ব্রাহ্মণী সহিত তবে প্রবেশিলা সেই ঘরে। লক্ষ্মী নারায়ণ যেন হইল প্রভূরে ৷ সুবর্ণের ঝারিতে দাসী আনিলেক জল। আপনি ধুইলা প্রভুর চরণ-কমল ৷ সেই পাদোদক-জল লয়ে আপনার মস্তকেতে দিল। আনন্দ-সাগরে ভাসি সীমা না পাইল॥ দিব্য বস্ত্র আনি দিল পরিবার তরে। অগুরু চন্দন দিল সকল শরীরে॥ নানা দ্রব্য উপায়ন করিল ভোজন। সুবর্ণময় পুরী দেখি ইন্দ্রের ভুবন॥ এত বলে মত্ত হৈলা সুদাম ব্রাহ্মণ। অনুক্ষণ মনে সেই গোবিন্দ-চরণ॥ শুন শুন সর্ব্ব লোক হয়্যা একমন। সুদামার দারিদ্র্য ভঞ্জিল্যা নারায়ণ॥ একথা শুনিবেক যেবা হয়ে একমন। তাহাকে তো দয়া করেন লক্ষ্মী নারায়ণ॥ এই উপাখ্যান ষেবা লিখে রাখে ঘরে। তাহাকে যে দয়া করেন লক্ষ্মী গদাধরে॥ বিপ্র পরশুরাম গায় পুরাণের সার। কিসের অভাব তার কৃষ্ণ সখা যার। এতদূরে সুদাম-চরিত্র হৈল সায়। হরি হরি বল সভে অমর সভায়॥