পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৭। জন্ম হইতেই সিদ্ধ ধ্যানী ছেলেবেলায় দেখিতাম যে, রাখাল হাসিতামাসা করিতে করিতে মাঝে মাঝে চুপ করিয়া বসিয়া থাকিত। খানিকক্ষণের মধ্যে যেন নিস্পন্দ, অন্যমনস্ক ও বিভ্রান্তচিত্ত হইয়া যাইত। কিছুক্ষণ পরে দম লইয়া আবার বেশ হাস্যকৌতুক করিত। মনে কিছু হইলেই বড় বেশী চোখ মিটমিট করিত। আমরা ভাবিতাম যে, সে একটা বােকা, হাবা ছেড়া, কথা বুঝিতে পারে , সেইজন্য চোখ মিটমিট করে ও ভাবিয়া দেখে। প্রকৃতই আমরা সেই সময় রাখালকে একটী বােকা, হাবা, অকর্মণ্য ছেলে বলিয়া মনে করিতাম এবং ভবিষ্যতে সে যে কিছু করিতে পারিবে এমন আশা করিতাম না। তখন আমরা সব ছােট ছেলে, ছেলেদের মতই বুদ্ধি, এইজন্য রাখালের ভিতরটা বুঝিতে পারিতাম না, কেবলমাত্র বাহিরের দিকটা দেখিতে পাইতাম। রাখাল যে জন্ম হইতেই সিদ্ধ ধ্যানী এবং ধ্যান ও জপ যে তাহার স্বভাবগত ভাব—ইহা আমরা কিছুতেই বুঝিতে পারিতাম না, রাখাল নিজেও তাহা বুঝিতে পারিত না; নিজ স্বভাবের গতিতে সে অন্য দিকে যাইত। অমায়িক ভাব আমরা সকলে ছােট ছেলে। স্কুল হইতে আসিয়াই দুষ্টামী করা আমাদের এক কাজ। রাখাল যদিও দুষ্টামী করিত, কিন্তু