পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক \రి তেমনি বড় বড় চিত্রী ছিল । তার প্রমাণ লেখা রয়েছে অজস্তার প্রস্তরগাত্রে, বহু প্রস্তরমূর্ত্তিতে, বহু মন্দিরগাত্রে । এই শিল্পই একসময়ে আপ্লাবিত করেছিল চীন, তিব্বত, তুরফান, তুৰ্কীস্তান, যব, মালয়, শু্যাম, কাম্বোজ ।” অজয় আবার বল্লে—“আমাদের কথা চলছিল রুচি সম্বন্ধে । আপনি এ সব কি ছবি অঁাকবে কথা তুলে সমস্ত প্রসঙ্গটাকে উন্টে দিতে চান ?” - কানাই বল্লে—“আমি মোটেই উণ্টে দিতে চাই না, কিন্তু আমি যা বলতে চাই তা ত আমার বলা এখনও হয় নি। সব কথাটা শুনলে হয় ত আপনার আমার কথা এত অসঙ্গত মনে হবে না ।” “বেশ স্ত, তাই বলুন না ।” কানাই বল্লে—“আমি বলছিলুম এই কথা যে রুচির দ্বারা আমরা জানতে পাবি যা আমবা প্রকাশ করতে চাই তা প্রকাশ পেয়েছে কি না । কিন্তু তার পূর্ব্বে জান চাই কবি বা শিল্পী কি প্রকাশ করতে চেয়েছেন এবং তার সঙ্গে আরও একটা কথা ওঠে যে যা প্রকাশ করতে চেয়েছেন তা প্রকাশের যোগ্য কি না, তা মঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত কি না । যে কোনও বিষয়বস্তু যথার্থরূপে প্রকাশ পেলেই তাকে সুন্দর বলতে হবে এবং সেই সৌন্দর্য্যস্থষ্টি ছাড়া শিল্পীর আর কোনও কাজ নেই। তা মঙ্গলের কি অমঙ্গলের, উপকারক কি অপকারক, শিল্পীচিত্তের পক্ষে তা একান্ত অবাস্তুর । একেই আপনার ইংরেজীতে বলেন—art for art's sake । কিন্তু শিল্পী যে, সে ত শুধু শিল্পী নয়, সে ত মানুষ । তার মধ্যে উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে মঙ্গলের প্রেরণা, তারই ফলে সে যাচাই করে নেয় কোন বস্তু প্রকাশের যোগ্য, তার হৃদয়ের দরদ কোন দিকে । তাই দেখা যায় যে মধ্যযুগে যখন