পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ➢® ሜ আসে। তখন পর্য্যন্ত তার বিরাট যে জীবনের ক্ষেত্র আছে সে সম্বন্ধে সজাগ হবারই অবসর পায় না। সে সম্বন্ধে তাদের সচেতন করতে চেষ্টা করলেও কৃতকার্য্য হওয়া যায় না । তাদের সামনে থাকে কয়েকটি পাশের লক্ষ্য । এই লক্ষ্য ক'টি বিদ্ধ করতে হবে এই থাকে তাদের জীবনের উদ্দেশু। পাশ করলে উপাধিপত্রেব একটা মূল্য আছে এ কথা তারা জানে এবং ভাল উপাধিপত্র অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে যে নগদ বিদায়ের থ্যাতিটুকু আছে তাও তারা জানে। কিন্তু যা পড়াশুনা , করেছে, জ্ঞান হিসাবে যে তার কোনও মূল্য আছে তা তারা কখনই প্রায় অনুভব করে না । কি জাতীয় প্রশ্ন পরীক্ষায় আসতে পারে তার একটা statistics কষে তারা তাব একটা ছক কেটে নেয এবং ভাল ছেলেরা সে সমস্ত সম্ভাব্যমান প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুত করে মুখস্থ করে। রাখে । তাদের জালে যদি প্রশ্নকর্ত্তার অধিকাংশ প্রশ্ন ধরা পড়ে তবে তাবা প্রশংসার সহিত পাশ-মার্কা পেয়ে থাকে । জীবনে যে জ্ঞানের কোনও উপকারিতা আছে তা কিছুতেই তাদের মনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে না । সেই জন্য জ্ঞান অপেক্ষা পরীক্ষা ব্যাপাবে কৌশলই অধিকতর কার্ষ্যকর হয়ে থাকে । কিন্তু পরীক্ষার প্রাস্তে পৌছে জীবনের যে বিরাট ক্ষেত্র পড়ে থাকে, সেই মহাবৃহে প্রবেশ করবার মন্ত্র তাদের থাকে সম্পূর্ণ অবিজ্ঞাত। নিজেদের কোন বিষয়ে শক্তি, কোন বিষযে রুচি, তা তারা কিছুমাত্র আবিষ্কার করে নি। নানা বিষয়ের অনেক খবর তারা রাখে, শুধু নিজেদের বিষয়ের কোনও খবরই তারা রাখে না। তাই বিরাট জীবনের ক্ষেত্রট যখন তাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় তখন তারা যে কোন দিকে চলবে সে সম্বন্ধে একান্ত দিশেহারা হয় । চাওয়ার তাদের কোনও সীমা নেই, কি চায় তা তারা জানে না । তাই, যা পায় তাই নিয়েই তাদের চাওয়ার সীমানা খুজতে হয় ।