পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 3 o অধ্যাপক পাওয়া যায়। তাই আজ রাজদ্বারে যখন দাড়িয়েছি তখন তুমি এসে দাড়িয়েছ তোমার দুই বলিষ্ঠ বাছ নিয়ে।” স্বকুমার বল্লে—“আচ্ছা, একটা কথা শোন । যা করেছিস্, করেছিস । চুপচাপ করে এখানে দিনকতক থেকে যা, আর ফ্যাসাদে নামিস নি । চল আমার সঙ্গে, কোনও একজন বড় প্রফেসারের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই, সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় যোগ দে।” স্বজাতা বল্লে—”এই কথাটা যদি আগে বলতে এবং আগে এসে আমাকে এইরকম একটা কাজ ধরিয়ে দিতে ত সে ছিল অন্ত কথা । গবেষণার কাজে আমার প্রচুর আগ্রহ আছে। এ পথে এতদিন তার কোনও হদিস না পেয়ে বুকের স্রোত উঠুছিল ফাপিয়ে, বাক৷ পথে ছুটেছে তার গতি । সে গতিকে আমি সামলাই কি করে’ ?” সুকুমার বল্লে—“বাক পথে যদি চলে’ই থাক ত সেখান থেকে সরে’ এসে আবার সোজা পথে চলতে তোমাকে ঠেকায় কে ?” স্বজাত বল্লে—“দেখ মুকু-দা, চল ন-চলা সব নিজের হাতে নয় । আমাদের অলক্ষ্যে আমাদের অন্তর্য্যামী দেন পথ একে, ছুটিয়ে দেন সেই পথে আমাদের জীবনের বেগ ।” “তুই কি নিজের ইচ্ছাশক্তিকে বিশ্বাস করিস নে ?” স্বজাত বল্লে—“বিশ্বাস যে করি না তাও বলতে পারি না, বিশ্বাস যে করি তাও বলতে পারি না । বাধের জল যখন ক্রমশঃ বেড়ে উঠে বাধকে ধাক্কা দিতে থাকে তখন সে জলের যদি চৈতন্য থাকৃত, সে মনে করত সেই বাধ ভেঙ্গেছে । কিন্তু বাধ যথার্থ ভাঙে জলের বেগে, সে বেগ বিধৃত হয়ে রয়েছে জলের স্বরূপের মধ্যে । তেমনি অনেক কাজ আছে যা আমরা নিজেরা করি বলে মনে হয় কিন্তু