পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৬ অধ্যাপক ক্ষমা করবেন, কিন্তু আমার মূল প্রশ্নটার ত আপনি কোনও উত্তর দিলেন না ।” নায়ক মহাশয় বল্পেন—“কি আবার আপনার মূল প্রশ্ন ?” কানাই আবার বল্লে—“ছাত্রদের ক্ষেপিয়ে তুলে বিদ্যালয়ল্লষ্ট করায় দেশের কি মঙ্গল সম্পন্ন হবে ? এই ছাত্রেরাই আমাদের ভবিষ্যৎ জাতীয় জীবনের প্রধান আশ্রয় । আমরা যা পারি নি এরা তা সম্পন্ন করবে, শুধু এই ভরসাতেই ইংরেজের সঙ্গে লড়াই করা যায় । এই লড়াই দু’একদিনের লড়াই নয়, এ লড়াই চলবে generationএর পর generation । আমাদের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যদ্বংশীয়দের গড়ে তোলা এবং সেই গড়ে তোলার স্থান হচ্ছে বিদ্যালয় । সেখানে শিখবে তারা বিদ্যা, অধ্যাপকের সাহচর্য্যে তারা গডে' তুলবে তাদের চরিত্র । তার হচ্ছে সরস্বতী মাতার দুগ্ধপোস্য শিশু, সেই মায়ের কোল থেকে তাদের ছিন্ন কবে আনলে তারা হবে শীর্ণ কঙ্কালসার, ভবিষ্যৎ কায্যের অনুপযুক্ত ।” নায়ক মহাশয় বল্পেন—“আরে মশায়, আপনার মত তাকিক ত আমি দেখি নি, ফি কথাতেই আপনি তর্ক জুড়ে দেন। ঘরে যদি লাগে আগুন তবে সকলকেই আসতে হয় সে আগুন নিভাতে।” “কিন্তু আপনার উপমাটা লাগল না। কোন আগুন নিভাবে আপনার ছেলেরা দলে দলে কলেজ থেকে বেরিয়ে, রাস্তায় টো টো করে', সোরগোলে সহর উত্তেজিত করে’ ? আর জল যদি না থাকে তবে সকলে ‘আগুন নিভাব’ ‘আগুন নিভাব’ বলে’ সোরগোল ও তর্জমগর্জন করলে আগুন কি থেমে যায় ? এ আমাদের আপৎকাল। দেশে প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠেছে আগুন, এ কথা কে অস্বীকার করবে ? সে আগুন নিভাবার শক্তি সঞ্চিত হ’তে দিন ছেলেদের মধ্যে । গড়ে