পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8S o অধ্যাপক গৌরব উনি সমগ্র দেশের । এর চাইতে বড় যে আমি কিছু করতে পারতুম তাত আমি মনে করি না।” কানাই চেয়ে রইল শ্রদ্ধাপুলকিত দৃষ্টিতে স্বজাতার স্নেহ গৌরবদীপ্ত মুখের দিকে, মনে হ’ল যেন জগন্মাতা পার্ব্বতী বসে আছেন তার স্নেহবিহ্বল দৃষ্টিতে সমস্ত পৃথিবীকে দুগ্ধধারায় অভিষিক্ত করে । স্বজাত বললে—“ওঁকে নিয়ে আমি নাবার খাবার সময় পাই না কিন্তু । শুধু কি তাই ? ওঁরই ঘরের পাশে আমার ঘর। কোন কোন দিন দেখি যে গভীর রাত্রিতে শুক্ল একাদশীর চন্দ্র যখন প্রায় অস্তোন্মুখ বা যখন সপ্তর্ষি ঢলে পড়েছে পশ্চিম আকাশের দিকে, তখন দেখি কি বিড় বিড় করে’ বকছেন আর পায়চারী করছেন বারান্দায়, ভয় পেয়ে যাই বুঝি বা গেলেন পাগল হয়ে। ভয়ে ভয়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসি বারান্দায়। আদর করে কাছে বসিয়ে মাথায় দিই হাত বুলিয়ে । জিজ্ঞাসা করি, কি হয়েছে আপনার বলুন ত । কোনও কথা নেই, দুই চোখ দিয়ে দেখেছি ঝর ঝর করে জল পড়তে, অনেক বোঝাবার পর একদিন বল্লেন, ‘সমস্ত জীবন দিয়ে গড়ে তুলেছি এই বিদ্যামন্দির, কে একে রক্ষা করবে, কে একে গড়ে তুলবে বাডিয়ে।’ আমি বলেছিলুম—‘কেন, ব্যবস্থা করে ভাল ভাবে trusteeদের হাতে দিয়ে যান না । "তিনি হেসে বল্লেন, “ক্ষেপেছ, trusteeয়া চালাবে এই বিদ্যামন্দিরকে । তারা বছরে দু’বার করে আসবে, মিটিং করবে, চলে’ যাবে, মাইনে-কর। Auditor দিয়ে আয় ব্যয় করাবে পরীক্ষা, হয়ে গেল তাদের কাজ । স্নেহ ছাড়া, মমতা ছাড়া, দরদ ছাড়া না গড়ে Library, না গড়ে বিস্তামন্দির, সরস্বতীর ধন সারস্বত প্রেম ছাড়া রাখা যায় না । যদি কেউ থাকৃত এমন যে আমাকে ভালবাসে, সে