পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক * 89: মঞ্জরী দেবীর কথা । সে আর কলকাতায় না ফিরে সোজা চলে গেল লাহোর। সেখানে তার একজন পিতৃবন্ধু ছিলেন খুব বড় ব্যারিষ্টার । সে তারই আশ্রয় নিলে লাহোরে ব্যবসা স্বরু করবার জন্য । কিন্তু ব্যবসা সে নামমাত্রই করত। অনেকদিন ধরে মঞ্জরীর কথা চিন্তা করে তার হৃদয়কে সে করেছিল জীর্ণ। মঞ্জরীর কাছ থেকে যে অপ্রত্যাশিত রূঢ় আঘাত সে পেয়েছিল তাতে শুধুই যে তার বুক ভেঙ্গে গিয়েছিল তা নয়, তার দেহের জীবনীশক্তিও হয়ে গিয়েছিল মান । যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল তারপর লজ্জায় সে আর স্বজাতাকে মুখ দেখাতে সাহস পায় নি, সাহস পায় নি চিঠি লিখে তার কথা জানতে । স্বজাত সমস্ত শুনেছিল এবং মুকুমারের জন্য তার হৃদয়ও হয়েছিল পীড়িত, কিন্তু এ অবস্থায় সে যে কি করতে পারে তা সে ভেবে ঠিক করতে পারে নি । এমন সময় একদিন প্রভা খবর নিয়ে এল যে মুকুমারের খুব অসুখ । সুজাতা ও প্রভা উভয়েই অত্যন্ত বিচলিত হ’ল । সুজাতা পডল মহা সমস্যায় । সুকুমারের এমন পীড়ার সময় স্বজাত গিয়ে পাশে দাড়াবে না, এ যেন তার পক্ষে অসম্ভব মনে হ’ল । চিরজীবন সে সুকুমারের কাছ থেকে যে স্নেহ, যে উপকার পেয়েছে, ছবির মত ভেসে যেতে লাগল সে সব তার চোখের সামনে দিয়ে । যে স্বকুমার সকল সময়েই সকলকে দিয়ে এসেছে আশ্রয়, সেই সুকুমার আজ একান্ত অসহায়, রোগশয্যায়, একথা জেনে সে কি করে থাকবে চুপ করে’ ? অথচ অধ্যাপককেও সকল সময়ে দেখা প্রয়োজন । তার শরীর পড়েছিল ভেঙ্গে এবং স্বজাতার মনে যথেষ্ট আশঙ্কা ছিল যে এ সময়ে দেখাশোনার অভাব ঘটলে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হয়ে উঠতে পারে। এই দোটানার মধ্যে পড়ে তার মন চঞ্চল হয়ে উঠল । সে পরামর্শ