পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক & o S দের সম্বন্ধে অত্যন্ত আশান্বিত হয়ে উঠি । আমরা মনে করি যে বড় হয়ে এ যেন কি একটা হবে, হয়ে দাড়াবে পৃথিবীর একটা অষ্টম আশ্চর্য্য । কিন্তু পরিশেষে এম.এ পয্যন্ত আসতে আসতে দেখা যায় যে সে ছেলে কাদায় হাবুডুবু খাচ্ছে । ভবিষ্যৎজীবনে আর তার দেখাই পাওয়া যায় না । এ জন্য মেয়েরা পরীক্ষায় কোন ভাল ফল করলে আমরা মাসিক পত্রে তাদের ছবি ছাপাই, জয়গানে দিগন্ত মুখরিত করে তুলি । কিন্তু এ ছাড়াও আর একটা বিশেষ কারণে কানাহ সুজাতার সামর্থ ও গুণ দেখত অনেক গুণ বাড়িয়ে । বাইরে প্রকাশের পথ না পেয়ে সুজাতার প্রতি কানাইয়ের প্রেম হৃদয়ের চাপে ভিতরে ভিতরে ক্রমশ: গাঢ় থেকে গাঢ়তর হতে লাগল । এই প্রেমের প্রতিফলন হ’ত যখনই কল্পনায় কিংবা চর্ম্মচক্ষতে কানাই স্বজাতাকে নিরীক্ষণ করত । তার হৃদয়ের মূল থেকে যে রস নিরন্তর উখিত হ’ত তা ক্রমশঃ প্রবাহিত হয়ে চলত তার চিত্তের সমস্ত শাখা প্রশাখায়, তা উঠত তার আদশের শীর্ষ পর্য্যন্ত । নিজের ধর্ম্মে বাইরের জিনিষ সংক্রান্ত করা এটা একটা প্রতিদিনের প্রাত্যক্ষিক ঘটনা । চোখে যদি হয় কামলা, সব জিনিষ দেখি আমরা হলদে। প্রেমকে যদি রাখি হৃদয়ে আবদ্ধ করে সে নিরস্তর হয়ে ওঠে একটা আনন্দের উৎস। তার অমৃতময় প্রলেপে আমাদের চক্ষু হয় নিষিক্ত, সেই নিষেকে প্রেমাস্পদের ছবিটিকে আনন্দে দেয় পূর্ণ করে । যে প্রেম হয় ব্যবহারে ক্ষয়প্রাপ্ত, ইন্দ্রিয়ের তটে এসে যা হয় শতধা চুণিত, সে প্রেমু হারিয়ে ফেলে তার অমৃতসঞ্জীবনী। তা থাকতে পারে না হৃদয়ের মধ্যে একটা চিরন্তন উৎস হয়ে, জাগাতে পারে না নূতন প্রাণনা বা প্রেরণা, তা আপনাকে বিশীর্ণ করে দেয় জৈবধর্শের ব্যবহারে । অস্তরের প্রেমধাতু যখন তার চৈতসিক