পাতা:অবতার.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার ©☾ ব্রাহ্মণের যজ্ঞস্বত্র বাহুতে জড়াইলেন, গীতাঁর দুই-তিনটা শ্লোক আবৃত্তি করিলেন, ‘এলিফ্যান্টা গুহার সন্ন্যাসী যে সব খুটিনাটি আচার-অনুষ্ঠানের উপদেশ করিয়াছিলেন, তাহার একটাও ছাড়িলেন না । এই সব অনুষ্ঠান শেষ হইলে, তিনি উত্তাপের বড় বড় মুখ খুলিয়া দিলেন, আর তখনি তাহার বৈঠকখানা-ঘর আবার প্রখর উত্তাপে উত্তপ্ত হইল ! থরমমেটারে ১২০ দাগ তাপ উঠিয়াছে দেখিয়া ডাক্তার বলিলেন —“এই স্বৰ্গীয় অগ্নির দুই ফুলিঙ্গ, বাহা এখন দেহ-পিঞ্জর থেকে নগ্নাবস্তায় বের হয়ে আসবে, আমাদের তুষার-শীতল হাওয়ায় ঐ স্ফুলিঙ্গদুটিকে ঠাণ্ড হতে দেওয়া হবে না—বা নির্ব্বপিত হতে দেওয়া হবে না।” ডাক্তার সাদা বস্ত্র পরিধান করিয়া জড়পিণ্ডবৎ এই দুই দেহের মধ্যে দণ্ডায়মান রহিয়াছেন । দেবীর নিকট যাহারা নরবলি দেয়, সেই ভীষণ রক্তপিপাস্থ পুরোহিতের স্থায় এই সময় তাহাকে দেখিতে হইয়াছিল। কিন্তু তাহার যজ্ঞের প্রক্রিয়া শাস্তিরসাশিত । নিশ্চেষ্ট নিশ্চল কোন্ট ওলাফের নিকট ডাক্তার ধীরে ধীরে অগ্রসর হইয়া, তার সেই মহামন্ত্র উচ্চারণ করিলেন, তাহার পর গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন অক্টেভের নিকটে গিয়া সেই মন্ত্রই আবার তাড়াতাড়ি আবৃত্তি করিলেন । ডাক্তারের যে চেহারা সচরাচর অতি অদ্ভুত দেখিতে, তাহা এই সময় এক অপূর্ব্ব মহিমায় মণ্ডিত হইয়াছিল। এই রহস্যময় অনুষ্ঠানের সময় তাহার মুখের বিশৃঙ্খল রেখাগুলি চলিয়া থুিয়া মুখশ্রীতে একটা শান্ত ভাব আসিয়াছিল, পুরোহিতে চিত একটা গাম্ভীর্য্য দেখা দিয়াছিল। এই সময় কতকগুলি আশ্চর্য্য ব্যাপার হইতে লাগিল । একটা যন্ত্রণার তড়কার হার কৌন্ট ও অক্টেভ উভয়ে, দেহ একই সময়ে নড়িয়া উঠিল। উহাদের মুখ বিকৃত হইল, উহাদের মুথে গ্যাজ •