করে দিয়ে বড়ো-বড়ো গাছের আগ হুলিয়ে শুকনো ডাল-পাতী । উড়িয়ে হুহু করে বেরিয়ে গেল। তারপরই একপশলা বৃষ্টি হয়ে গেল —খাল-বিল ভর্তি করে দিয়ে। একটু পরে বিষ্টি থেমে আবার রোদ উঠল ; তখন দলে-দলে হাস, বক, সারস আবার চলল-আকাশ পথে আগের মতো বলাবলি করতে-করতে— ‘মাকড় আবার জাল পেতেছে ? আর ভয় নেই—রোদ এসেছে।’ ‘মৌচাক ছেড়ে মাছির ছোটে । ‘বাদলের ভয় নাইকে মোটে।’ ‘বনে-বনে ওঠে পাখির সুর ' উড়ে চলে, পার যতদূর । ‘আকাশ জুড়িল রামধনুকে ? ‘চলে। —গেয়ে চলে মনেরি মুখে । আগে-আগে পাণ্ডা-হাস চলেছে, পিছে-পিছে তীরের ফলার মতো হ'সারি হাস ডাক দিতে-দিতে উড়ে যাচ্ছে। অনেক উপর দিয়ে একদল ডাক দিয়ে গেল –‘পাহাড়তলি কে যাবে ? পাহাড়তলি ! বুনো হাসের ডাক শুনে পোষা-পালা খালের বিলের হাস, তারা ঘাড় তুলে যে যেখানে ছিল জবাব দিলে –‘যে যাক, আমরা নয়।’ মাটির উপরে যারা, তারা মুখে বলছে —‘যাব না। কিন্তু আকাশ এমনি নীল, বাতাস এমনি পরিষ্কার যে মন তাদের চাচ্ছে ষ্টড়ে চলি —ঐ আলো-মাখা হাওয়ায় ডানা ছড়িয়ে হুহু করে । যেমন এক-এক দল বুনোহাস মাথার উপর দিয়ে ডাক দিয়ে যাচ্ছে, আর অমনি যত পালা-হাস তার চঞ্চল হয়ে পালাই-পালাই করছে। ছ'চারটে বা ডানা ঝটপট করে এক-একবার উড়ে পড়তে চেষ্টা করলে, অমনি বুড়ি হাস ঘাড় নেড়ে বলে উঠল –‘এমন কাজ কোরো না, আকাশপথে চলার কষ্ট ভারি, পাহাড় দেশে শীত বিষম, কিছু মেলে না গো, কিছু মেলে না।’ বুনো-হাসের ডাক শুনে মুবচনীর খোড়া হাস উড়ে পড়তে ఆ శిరి