পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভালুকে-শেয়ালে হাসে-ছাগলে তর্ক বেধে গেল, দেশের জানোয়ার সেই তর্কে যোগ দিয়ে চেঁচামেচি হট্টগোল বাধিয়ে দিলে । শিকরা বহুরী বাসা বাজ তুরমুতি কাহা কুহী লগড় ঝগড় জোড়াখুতি ঠেটি ভেটি ভাট হরিতলি গুড়গুড় নানাজাতি কাক পেচা বাবুই বাহুড় । সবাই মিলে তর্ক লাগিয়েচে —“যাও-যাও হুদি খাও! এমন সময় গণ্ডগোলশুনে পাহাড়ের গুহ থেকে বুড়োলামা-ছাগলবেরিয়ে এলেন – অতি দীর্ঘকক্ষ লোম পড়ে উরু পর নাভি ঢাকে দাড়ি গোফে বিশদ চামর। ববম-বম ববম-বম বলতে-বলতে লামাকে আসতে দেখে সবাই তটস্থ, ভালোমানুষ হয়ে বসল। লামা বললেন –‘তোমরা সব কী বৃথা তর্ক করছ ? দেখে তর্ক কী ভয়ানক ব্যাপার, কোথায় তোমবা পড়া পড়বে, না, হাত-হাতি বাধিয়েছ ভায়ে-ভায়ে —’ অভেদ হইল ভেদ এ বড়ো বিরোধ কী জানি কাহারে আজি কার হয় ক্রোধ ! ভ্রান্তজীব অন্ত না বুঝিয়ে কর দ্বন্দ্ব, কারো কিছু ঠিক নাই কেবল কহ মন্দ ; উভয়ের মন তোরে মন্ত্রণা আমি কই, তর্কে নাহি মেলে কিছু গণ্ডগোল বই ; শুন বাক্য গুরুবাক্য করেছে প্রামাণ্য ; একে পঞ্চ পঞ্চে এক, নাই কিছু অন্ত । লামা-ছাগল লেকচার শেষ করলেন অমনি বোকা ছাগলের দল জাতীয় সংগীত শুরু করে দিলে – ‘ ❖ግ8