হাড়গিলে গলার থলি তুলিয়ে বললে –‘খবর দিয়ে লাভ ? তারা আসবার আগেই সে কেল্লা দখল হয়ে যাবে।’ চক এবারে চটে বললে –‘হয়ে যাবে বললেই হয়ে গেল, এমন অঘটন হতে দেব না আমি বলছি ? যে চকার ঠোঁট একেবারে ভেঁাতা, নেই বললেই হয় আর যার পায়ের নখও ততোধিক ধারাল, সন্ধা না হলেই যার ঘুম আসে, তিনি লড়তে চান চিরুনির্দাত চুয়োদের সঙ্গে ! হাড়গিলে হেসেই অস্থির। ঘাড় নেড়ে চকাকে বললেন —’বুরুঞ্জিতে লেখা আছে এই ঘটবে, কারো সাধ্য নেই তা বদ করা, আমি পণ্ডিতদের দিয়ে গণিয়ে দেখেছি কোনো উপায় নেই, না হলে আমি চুপ করে বসে আছি !’ চকা হাড়গিলের কথায় কান না দিয়ে ডাক দিলে –পাপড় নানকৌড়ি, নেড়োল কাটচাল, লালসেরা আণ্ডামানি, চোখ-ধলা ডানকানি, পাটবুকে হামস্ত্রি, মারাগুই চাপড়া, তীর শুলী আকায়ব, তোমরা যা ও মানস সৰোবরেব পথে যত নেংটি দেখবে সবাইকে খবর দাও লড়াই বাধবে । অমনি সাতটা বুনো হাস অন্ধকারে ডানা ছড়িয়ে উড়ে পড়ল । চকা আবার বাঙলাদেশের হাসদের ডাক দিলে –‘সনদ্বীপের বাঙ্গাল, ধনমাণিকের কাওয়াজী, রায়মঙ্গলার ঘেংরাবল, চব্বিশ পরগনার সরাল অমনি তেল চু চুকে মোটাপেট পাঁচজন উপস্থিত হল হেলতে-তুলতে, চকা তাদের বললে —“চট করে যাও গঙ্গাসাগবের দিকে, নেংটিদের রাজা পলাতক ইন্দুরায় আর ইন্দুরানীকে ফিরিয়ে আনো ? কিন্তু এবারের দল অত চটপট উড়ে পড়ল না, বাঙাল মাথা চুলকে বললে –এ কাজটা কি সমীচীন হবে, ইছরের যুদ্ধে হাসেদের যোগ দেওয়া কি সংগত, তা ছাড়া এই অন্ধকার রাত্রে আপনাকে একলা এই শত্রুদেব *--- rfcatة চকা ধমকে উঠল : বড়ে দেরি করছ তোমরা ’ বাঙলার হাসর পটাস-পটাস করে ডানাঝাপটে দক্ষিণ মুখে আস্তে-আস্তে উড়ে চলল। |లిల