পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীকৃষ্ণ-কথা যমুনা পারে গোকুলে নন্দঘোষ রাজা, যশোদা রানী। দেশের গোপ-গোয়ালা নন্দঘোষের প্রজ, তাদের গোপিনী-গোয়ালিনী নন্দরানীর সই। গোকুলে রাজার গোয়ালে ক্ষীরবর্তী গাই, রানীর ভাণ্ডারে শিকেয় তোলা ননী । প্রজাদের ঘরে ক্ষীরের ভার দই-এব পসরা । সেখানে রাখালের দল ধড়া পরে চুড়ে বেঁধে মাঠে-মাঠে গরু চরায়, বনে-বনে বঁাশী বাজায় । সেখানে গোপ-গোয়াল মিষ্টি দুধে ক্ষীর কাটে । টক দুধে দই পাতে। সকালে সন্ধ্যায় রাজ্যের গোপিনী গোয়ালিনী পসরা মাথায় খেয়াঘাটে নীল যমুনা পার হয় —ও পারে পাড়ায়-পাড়ায় ঘরে ঘরে ক্ষীরের ভার দই-এর পসরা বেচে আসে । যমুনার এ পারে ব্রজপুরী, ও পারে মথুরা। এ-পারে ব্রজপুরে কদমবনে রাখাল ছেলে বাশি বাজায়, কুঞ্জবনে ব্রজবালা ফুল গীথে, যমুনা জলে গোপিনীরা নাইতে আসে। আর ও পারে মথুরাপুরে কংসরাজার কারাগারে নন্দরাজার প্রাণের বন্ধু বসুদেব, নন্দরানীর প্রিয়সখী দেবকী পায়ে বেড়ি হাতে হাতকড়ি পড়েপড়ে কাদেন। কংসরাজা দেবকীর বড়ো ভাই, বড়ো নিষ্ঠুর বড়ো হ্রস্ত। যেদিন বসুদেব-দেবকীর বিয়ে হল সেইদিন আকাশ থেকে দেবতারা ডেকে বললেন –দেবকীর সাত ছেলের পর আট ছেলে হবে, সেই ছেলে অমুর বংশ ধ্বংস করে কংসরাজার রাজ্য নেবে। সেই শুনে কংস রাগভরে বসুদেব দেবকীকে কারাগারে পায়ে শিকল, হাতে শিকল, হুয়ারে শিকল দিয়ে বন্দী করলে। ছোটে৷ বোন বলে মায়া রাখলে না । 8&o