পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—দেখ দেখ শঙ্খচিল না তো ! —ওমা | চিল হতে যাবে কেন –ওটা যে শকুনি । শকুনি বলে শকুনি ? ' শকুনির মামা শকুনি ! —ডান মেলে পালক থেকে কাকুড়ার মতো বড়ো বড়ো উকুন বেছে খাচ্ছে . তাড়ালে নড়ে না। —কী হবে গো ও পিসিমা ! রাজার পিসি কাত্যায়নী’গম্ভীর মুখে বললেন —যখন পড়েছে তখন ওরে নড়ান শক্ত, ও কিছু নিয়ে তবে উড়বে। ছোটোপিসি দীক্ষায়ণী বললেন, এ তো বড়ো দোষের কথা হল— আজ মটকাতে পড়ে শকুন— ঠে।টে বেছে খেলে উকুন। কাল বাড়া ভাতে পড়বে মাছি, তখন আর কোথায় আছি ॥ এই সময় খবর আনলে ডুমনিপাড়ার কুসমি –‘ওগো মাঠাকরুনের আপদ ঢুকেছে—শুক্নিটা যেখানেই পড়ল সেখানেই তিনটে খাবি খেয়ে মরল । রাজা আমাদের তেনকে হুকুম করল মরা পাখিটারে ভেজে খেয়ে ফেলাতে । ঐ শোনাও যা, কাত্যায়নী ঠাকরুন তড়াক করে লাফিয়ে উঠে— অঁ্যা, বলেই চিৎপাৎ কুপোকাৎ —আর সাড়াশব্দ নেই। রাজার রানী আরামের নিশ্বাস ফেলে বললেন —যাক পিসির উপর দিয়েই শকুন-পড়ার ফঁাড়াটা কাটল বুঝি ! . ঠিক সেইকালে কাত্যায়নী বুড়ি চোখ মেলে কট্‌মট করে চেয়ে ভাঙা কঁাসির মতো খনখনে আবাজে বলে উঠলেন –তিরদোষ তিরদোষ তিরদোষ, –তিনবারের বার চোখ উলটিয়ে পিসির হয়ে' গেল । ¢ፃ»