পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা কাজ বুঝে নিয়ে কাজে লাগলেন – উধ্ব ঝুটি চুল বান্ধে রাজা উচ্চ করি কোমরে জড়ায় বিচুলির দড়ি। রাজচিহ্ন রাজার সকল গেল দূরে, পাটনীর বেশে রাজা বেড়ান ঘুরে ঘুরে । এদিকে শৈব্য রানী ব্রাহ্মণের ঘরে, একসের তণ্ডুল পান আহারের তরে। তিন পোয়া রুহিদাস খায় তিনবারে এক পোয়া খান শৈব্যা সারা দিনান্তরে ॥ মুখের শরীর এক মুঠো খেয়ে দিন দিন শুকোয় দেখে ব্রাহ্মণ বললেন –“বাছা অমন করলে তো চলে না । পয়সা দিয়ে কিনেছি শক্ত সমর্থ হবে খেয়ে দেয়ে, কাজ দেবে, না, দিন দিন না খেয়ে শুকোচ্ছে পাকাটির মতো। বাপু রুইদাস, কাল থেকে দেবাচনার ফুল তুলে আমি তোমার জন্যে তিন পোয় তণ্ডুল না হয় বেশী দেব, মায়ের চালে আর ভাগ বসিও না ।” —‘যে আজ্ঞে বলে রুহিদাস অঁাকসি সাজি হাতে, তুলতে গেল ফুল আর দুর্বাঘাস । যতদূর দুঃখ হবার তা তো হল – রাজা হৈল দাস, রানী হৈল দাসী, রাজপুত্র রইল অর্ধ উপবাসী। বিশ্বামিত্র রাজা হৈল অযোধ্যায় আসি ৷ এই ভেবে মুনিবর বশিষ্ঠ অযোধ্যায় রাজ-পুরোহিতের কাজ গৰ্গমুনির হাতে ছেড়ে দিয়ে নিজের আশ্রমে সরলেন। এই খবর পেয়ে মুনিরাজ বিশ্বামিত্র মুখে কিছু বললেন না, কিন্তু মনে মনে や)●