পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अवांशिक Sir অধ্যযুগের আবহাওয়ায় নিশ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে---কি শিক্ষায়, কি মতামতে, কি জীবিকার্জনের প্রণালীতে । উড়িয়্যার একটি নিভৃত পল্লীঅঞ্চল একবার দেখবার সুযোগ ঘটেছিল। সেখানেও এইরকমই দেখেচি । তবে আমার মনে হয়েচে বিহারী পল্লীবাসীয়া বেশি অপরিচ্ছন্ন, উড়িষ্ণুবাসীদের অপেক্ষা। উড়িয়া গৃহস্থের বাডিঘর গোবর-মাটি দিয়ে বেশ লেপামোছা, লোকগুলিও, এত অপরিকার নয় । উড়িষ্কার পল্লীগ্রামেক্স’ কুথী পরে বলচি । "আমরা বোলা তিনটের সময় গোকর্ণটোলা থেকে কাজরা স্টেশনের দিকে রওনা হই, বৃদ্ধ গৃহস্বামী গল্প করতে করতে প্রায় এক মাইল রাস্তা আমাদের সঙ্গে এল। আমরা তাকে বার বার বলে এলুম। বিদায় নেবার সময়, ভাগলপুরে মামলা করতে আসে যদি কখনো, তবে যেন আমাদের यान्नम्र ७a८ग्न अcठे । সন্ধ্যার সময় কাজরা থেকে ট্রেন ছাড়লো । একদিন দুপুরের ট্রেনে আমি ভাগলপুর থেকে গৈবীনাথ দেখতে গেলাম। সুলতানগঞ্জ স্টেশন থেকে প্রায় আধমাইল কি তার কিছু কম হেঁটে গঙ্গাব ধার। সেখানে এক নৌকো করে গৈবীনাথ যেতে হয়-কারণ। গৈৰীনাথ একটা ছোট পাহাড, সোজা গঙ্গাগর্ভ থেকে উঠেচে । পাহাড়ের ওপর গৈবীনাথ শিবেবী মন্দির । আমি যেদিন গিয়েছিলুম, সেদিন ওখানে লোকের যাতায়াত ছিল কম। রেলের ধারে বলে, গৈবীনাথে প্রায়ই শনি বা রবিবার লোকজনের ভিড় একটু বেশিই হয়ে থাকে। ঋষ্যশৃঙ্গের আশ্রম যত ভালো জায়গায় হোক, অতদুর রাস্তা আর বনজঙ্গলের মধ্যে বলে সেখানে বড় একটা কেউ যেতে চায় না, যদিও কিউল থেকে জামুই আসবার সময় বঁ-দিকে যে পাহাড়শ্রেণী