পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O অভিযান্ত্রিক --আর দু:খানা পুরী নিন।--না না লজ্জা করবেন না মশাই, লাজ করলে ঠিকবেন রাত্রে। সেই বিলাসপুরে ভোর, তার আগে কিছু মিলবে না। ভালো tris খাওয়া দাওয়া শেষ হ’ল দুজনেরই। ভদ্রলোক নিশ্চয়ই খুব মাতৃভক্ত, তার মাতৃদেবীর গুণকীর্তন শুনতে হ’ল অনেকক্ষণ বসে । শোবার ইচ্ছে LKD DDYDL KES DBDLB BDBLL BDBDD DD S তারপর কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, আমার ঠিক মনে নেই, একটা কি স্টেশনে দেখি ভদ্রলোক আমায় ঝাকুনি দিয়ে বলচেন-ও মশাই, উঠুনএকটু চা খান-খুব ভালো চা এই স্টেশনের-এই ধরুন কাপটাউকি মেরে জামালা দিয়ে দেখি স্টেশনের নাম বাসুগুড়া । বললুম, রাত কত মশাই ? 一尺arö*衍叫一 ট্রেন ছাড়লে চেয়ে দেখি রেলের দুধারে শেষ রাত্রের অন্ধকারে কেবল বন আর বন । মধ্য-প্রদেশে এসে পড়া গেল নাকি ? আরও অনেক স্টেশন চলে গেল। বন আর পাহাড়, পাহাড় আর বন, শেষ-রাত্রের ঘন অন্ধকারে কেমন অপরূপ মনে হচে । কখনো এ লাইনে আসিনি-বনের এমন শোভা যে এ লাইনে আছে তা আমার জানা ছিল না । সেদিক থেকে বেঙ্গল নাগপুর রেলপথ একটি বিশেষ লাইন, যা কিনা চক্ষুন্মান ও প্রকৃতি-রসিক যাত্রীর সামনে আদিম ভারতের ছবি ধীরে ধীরে খুলে ধরবে, তার নিবিড় অরণ্যানী ও শৈলশ্রেণী, কোল, মুণ্ডা, ওঁরাওদের বস্তির সারি, স্থানের অনার্য নাম ইত্যাদি মনে করিয়ে দেয় প্রাক-আর্য যুগের ভারতবর্ষের কথা । জানালা খুলে অন্ধকারে বনশ্রেণীর দিকে চেয়ে বসে রইলুম। ঘুম আমায় চোখ থেকে চলে গেল । পয়সা খরচ করে দেশ বেড়াতে এসেচি