পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । আনীত হইল। বেলা এগারটার সুয়ে হাকিম আদালত আলো করিয়া বসিলেন। বিচারক আসর্গে বসিতে না বসিতে কনকপ্রভায় ডাক হইল। জমানবন্দীর কাঠগড়ায় তাহার পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে “আদালুত গৃহ লোকে লোকারণ হইয়া পড়িল । সে অবগুষ্টিতা স্ত্রীলোক ”বিলম ভাবে দাড়াইলেও বিচারকু ধর্ম্মাবতারের মনে छेव्, আিম অনেক কাল ধরিয়া অনেক মামলার বিচার তিনি করিলেও, আজি ভাঙ্গার পরম সৌভাগ্য। আজ তাহার এহুলাস যেন ইন্দ্রালয়ে পরিণত হইল। অল্প উর্ব্বশীঃ কি মেনকা,রস্তা কি কিলোন্তিম স্বপদচু্যত তইখ আলিপুরের আদালতে আসিয়া ঘর আলো করিয়াছে। উকীল, মোক্তার, আমলা ও অসংখ্যা মামলার পক্ষাপক্ষে ও সাধারণ দর্শকে গৃহ পূর্ণ হই না গিয়াছে। হাকিম বিরক্ত হইয়া জনতার হ্রাস করিবার আদেশ জারি করিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ধরাচুড়াধারী বৃন্দাবনবিহার, গণের-পাচন বাড়ীর তাড়নায়, কে কাহার ঘাড়ে পড়ে, এইভাবে ধাকাণ্ডুব্ধি গুতাগাতা খাইয়া কতক লোক বাহিরে স্বারাণ্ডায় গিয়া দাড়াইল। হাকিমপ্রবারের হুকুমে বাদীপক্ষের উকীলবাবু বাদিনীর জমানবন্দী লিপিবদ্ধ করাইলেন । এখানে সে রঙ্গভঙ্গীপুণা ইহঁতৰ আলোচনার প্রয়োজন নাই । অপহৃদত অলঙ্কারের আকার একান্ম বুকাইবার জন্য অপর পায়ের অলঙ্কারখানি স্থাকিমের সম্মুখে ধারিব মাত্র তিনি সেখানি একবার দেখিতে চাহিলেন। উকীলাবাৰু বেঞ্চ ক্লার্কের দ্বারা গহনাখানি হাকিমের হাতে দিলেন । বিচারক বাদিনীর চরণচুন্বিত কনকালঙ্কার হাতে করিয়া বলিলেন “কাঃ ! কি সুন্দর } । কারিগরের বাহাদুরী আছে|” পরে জিজ্ঞাসা করিলেন “ইহার মূল্য