বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৭০
অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড)
২৭০

অধ্যায়: পনের

কিছু ভারতীয় আধ্যাত্মবাদীদের অলৌকিক ক্ষমতা

যােগ-সমাধিতে নাড়ি বন্ধ

আমরা শৈশব থেকেই শুনে আসছি, আমাদের দেশের মুনি-ঋষিরা যোগ সাধনার দ্বারা সমাধিতে যেতেন। নির্বিকল্প সমাধি তাঁদের অধিগত ছিল। নির্বিকল্প সমাধিতে নাড়ির গতি স্তব্ধ হয়ে যেত। অর্থাৎ, দেহ থাকতাে, কিন্তু দেহে প্রাণ থাকতাে না। এই অবস্থায় জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলন ঘটে বলে হিন্দু উপাসনা ধর্মগ্রন্থে বলা আছে। দেহের বাইরে বেরিয়ে আত্মা যে শুধু পরমাত্মাতেই মিলিত হতাে, তেমনটি নয়। নিজের দেহের ভিতরে প্রবেশ করে দেখেছেন, ‘ষঠচক্র’ বা ছটি চক্রকে। এই ছটি চক্র রয়েছে গুহ্যে, লিঙ্গমূলে, নাভিতে, হৃদয়ে, কণ্ঠে ও দুই ভ্রূর মাঝখানে। মস্তিষ্কে আছে সহস্র পাপড়ির পদ্ম-কুঁড়ি। কুঁড়ির ওপর ফণা মেলে রয়েছে একটি সাপ; যার লেজ গেছে গুহ্য পর্যন্ত। এই পদ্মের বীজে আছেন ব্রহ্মস্বরূপ শিব। এ’সব-ই আমরা জেনেছি সেইসব মহান যােগীদের কাছ থেকে, যাঁরা যােগ বলে নিজেদের নাড়ির স্পন্দন বন্ধ করতে পারতেন। তারপর মুক্ত আত্মা যেখানে খুশি যেতে পারতেন। ব্রহ্মলােক থেকে গ্রহ-নক্ষত্র সর্বত্র বিচরণ করতেন।

 আজকাল দু-পাতা বিজ্ঞন পড়ে কেউ কেউ মুনি-ঋষি-যােগীদের যােগ ক্ষমতাকেও অস্বীকার করতে চান।

 গত শতকের সাতের দশকে মহর্ষি মহেশ যোগী ভারতীয় যােগকে আবার বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করেন। পাশ্চাত্যের শিক্ষিত হাজার হাজার মানুষ তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তিনি যােগ বলে নিজের নাড়ির স্পন্দন বন্ধ করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছিলেন মুনি-ঋষিদের যােগশক্তি আদে গল্প-কথা ছিল না।

 ওপরের এই কথাগুলাে আমরা বলি ‘অলৌকিক নয়, লৌকিক’ অনুষ্ঠানে। তারপর বলি:—

 “আপনাদের সামনে এবার হাজির করছি মহর্ষি মহেশ যােগীর শিষ্য