পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাকবৈষ্ণবী কন্দলী যুগ ○○ সত্য করি জানা দাদা বচন আমার। পরিছেদা করি দেখা পত্র পরিবার। পটেশ্বরী লোক দেখা আরো যত তিরী। আজ ধরি তোমার খণ্ডাইবোঁ রাজশিরী ॥ ইহাতে সগ্রীবের চরিত্রকে ভীর ও ক্ষুদ্র করিয়া আঁকা হইয়াছে। অবশ্য কবির ইচ্ছাও হয়তো সেইরাপ ছিল। বীর স্বামীর প্রতি তারার উক্তি তারা চরিত্রকে বীযবতী স্বামীসোহাগিনী পেই ফটাইয়া তোলে— আপোনার বাহুবলে বৈর সব জিনি লাহা বর যশরাশি তুমি পাইলা। সদ্যজয় রাবণক কায়ত টিপিয়া লইয়া চারিয়ো সাগর ফরি আইলা৷ বালীর পতনে তাহার বিলাপ ও পতিপ্রাণা নারীর বিরহবেদনার সঙ্গে স্বামীর মৃত্যুর পরে দেবরের আশ্রয় লইতে হইবে, এই একটা অস্বাভাবিক অসমাজিক চেতনাও রহিয়া গিয়াছে— শুনিয়ো সংগ্রীব বীর স্বামীর সোদর ভাই, তুমি শ্রেষ্ঠ দেবর আমার। আপনোর সখ হেতু স্বামীক মরাইয়া মোর কুলর আনাইল খিলিংকার। এবে বর যশ পাইলা শ্রেষ্ঠ ভাইক ন চাইলা আমাক চাহিবা কিবা আর ॥ বালী যখন মৃত্যুশয্যায়, তখন সীপত্রকে সান্ত্বনা দিবার ভঙ্গীটি সত্যই অতি মনোরম করিয়া কবি আকিয়াছেন— দেখত অঙ্গদ চরণত পরি আছে। সব বন্ধ জনে বেঢ়ি কান্দে আগে পাছে৷ } ডাইন হাতে অঙ্গদকো আলিঙ্গি ধরিলা। বাম হাতে ধরিয়া তারাক বোধ দিলা ॥ এবং বালাঁর সব চেয়ে মহত্ত্বের পরিচয় কবি দিলেন, যখন বালী নিজের গলার মালা সগ্রীবকে পরাইয়া দিয়া বলিলেন শ্রেষ্ঠ ভাইক লাগি ন করিবা শোক কিন্তু সবাই কাঁদে– স্বামীক বেড়িয়া কান্দে পটেশ্বরী লোকে। সন্ত্রীব কান্দত অতি জ্যেষ্ঠ ভাইএর শোকে ॥ রামচন্দ্র লক্ষণ কান্দন্ত হনমন্ত। সৈন্যে সমে চারিপাত্র আর জাম্ববন্ত ॥ অসমীয়া সাহিত্যের চানেকীতে প্রাকবৈষ্ণব যাগের কবিতা হিসাবে রদ্রকন্দলী লিখিত মহাভারতের দ্রোণপবের সাত্যকিপ্রবেশ উল্লেখযোগ্য। বিষ্ণর ভকত মহামায়ার সেবক শ্রীমন্ততামধনজ অনজে সহিতে, বদ্ধর সমানধর্ম শিশু বয়সেতে। o o