*ヘ করিবার সাধ একেবারে চলিয়া যায় ; কিন্তু র্তাহাকে দায়ে ঠেকিয়া কর্ম্মগ্রহণ করিতে হয় ; তিনি বিলাত হইতে উচ্চ রসায়নীবিদ্যা আমুক্ত করিয়া দেশে ফিরিয়াছেন, অন্য পথে যাওয়াও সুবিধাজনক নহে । বিশেষতঃ মৌলিক গবেষণা দ্বারা নূতন নূতন তত্ত্বাবিষ্কার করিবার স্পৃহা তাহাকে অনুপ্রাণিত করিয়া তুলিয়াছিল। এমন কি, প্রেসিডেন্সি কলেজ ভিন্ন অন্য কোন কলেজে নিযুক্ত হইলেও তাহার এই বাসনা ফলবতী হইবার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। স্বতরাং একরূপ বাধ্য হইয়াই ‘রোগী যেন নিম খায় মুদিয়া নয়ন’ গতিকে তাহাকে এই কর্ম্ম গ্রহণ করিত্বে হইল। - ঈপ্সিত জ্ঞানাঙ্কুশীলনের পথে এইরূপে নানা বিস্তু-বাধা উপস্থিত হওয়ায় প্রফুল্লচন্দ্রের জ্ঞানপিপাসু চিত্ত সহজেই বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল। তিনি শিক্ষাবিভাগের এই সকলুনীরব অত্যাচার মাথা পাতিয়া গ্রহণ করিলেন বটে ; কিন্তু পরাধীনতার একটা গ্লানি আসিয়া বৃশ্চিক ংশনের ন্যায় তাহার সর্ব্ব শরীরে এমন একটা জালা উৎপন্ন করিল যে তাহারই ফলে তাহার সমগ্র জীবন ভবিষ্ক বংশীয়গণের মুক্তির সন্ধানে উৎস্থষ্ট হইয়াছে। এই সময়ে প্রফুল্লচন্দ্রের অন্তরপ্রদাহে সার জগদীশ্চন্দ্রের পারিবারিক স্নেহ, যত্ন ও ভালবাসা কতকটা বাহ প্রলেপের কাজ করিয়াছিল। প্রফুল্লচন্দ্র যখন এডিনবরায় অধ্যয়ন করিতেন, বাঙ্গালার অন্যতম শ্রেষ্ঠ রত্ব বিজ্ঞানাচার্য্য সার জগদীশ্চন্দ্র বস্থ মহাশয় তখন কেমব্রিজের ছাত্র ছিলেন। উভয়ের প্রথম লওনে সাক্ষাৎ হয়। প্রথম সাক্ষাৎ হইতেই চুম্বকের ন্যায় উভয়ে উভয়ের প্রতি আকৃষ্ট হইতে থাকেন এবং প্রথম আলাপ হইতেই উভয়ের মধ্যে সৌহার্দ্যের স্বষ্টি হয় । “সম্বন্ধমাভাষণপূর্ব্বমাহুঃ” । জগদীশ্চন্দ্র ১৮৮৬ সালে ভারতীয় শিক্ষাবিভাগে প্রবেশ
