পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনা ও সিদ্ধি R ('ම් সে পাশ করার কাজেই লাগে না । এখন বিশ্ববিদ্যালয় হতে ভূগোল এক প্রকার নির্বাসিত হয়েছে ; ইতিহাসও না পড়লে চলে। বাস্তবিক কি লজ্জা, কি পরিতাপের কথা যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ এম্-এ, এম.এসসি গণ অশিক্ষিত, অৰ্দ্ধশিক্ষিত অথবা কুশিক্ষিত। ক্যালেণ্ডারে পাঠ্যপুস্তকের তালিকা অক্সফোর্ড, কেন্বিজ, হার্ভার্ডকেও ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু সারা দুবছর ফুটবল ক্রকেট খেলেছে ও দেখেছে বলে আমার এক বন্ধু স্লখুন আপন পুত্রের এম-এ পাশ করা সম্বন্ধে হতাশ হয়ে পড়লেন, তখন চতুর পুত্র কয়েক দিনের মধ্যে মেস থেকে মেসান্তর ঘুরে নোট জোগাড় করলে এবং পরীক্ষকের মন জুগিয়ে চলে’ অবহেলে পাশ করে ফেলে বাপকে একেবারে তাক লাগিয়ে দিলে! তাই বলি সর্ব্বনাশ হয়েছে এই ভাসা-ভাসা জ্ঞানে, আর অতি সস্ত পাশে। ফিস্ক্যাল-কমিশনে স্তীর ইব্রাহিম রহিমতুল্লা, ঘনশ্যামদাস বিরল প্রভৃতি বসবেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেণ্ডারে এদের নাম খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু ক্যালেণ্ডারে যাদের নাম জলজল করছে সেই (Cobden Medalist) স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বাঙালী যুবক ত ঐ অতি প্রয়োজনীয় ব্যাপারের আলোচনায় আহত হলেন না। স্যার বিঠলদাস ঠাকরুসে বড় বড় কলের মালিক-পরন্তু "গোল্ড মেডেলিষ্ট’ নন। টাকা নিয়ে হাতে-কলমে কাজ করেন বলে মহামতি গোখলে বজেট-বক্তৃতা প্রস্তুতের কালে তার পরামর্শ বহুমূল্য জ্ঞানে গ্রহণ করতেন। ভারতবর্ষে রেলওয়ে-কারবার-সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপারে। র্যার মতামত বহুমূল্য বলে বিবেচিত হয় তিনি হচ্ছেন ডিগ্রীহীন সাতকড়ি ঘোষ। চিন্তামণি, কালীনাথ রায় প্রমুখ সংবাদপত্রসম্পাদকগণ অনেকেই ডিগ্রীশূন্ত ; কিন্তু এরা সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন,