পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বস্তৃতাবলী তাহ হইলেও বুঝা গেল না ; তখন তাহাকে আরো ব্যাখ্যা করিতে ##—“sq. off o' “Three stories high” “To «TIRÈ fis atra” (God Almighty sit upon ) xét: জগন্নাথদেৰ বসিয়া আছেন, “লাং লাং রোপ” ( Long long rope) “cầ5 g citā RīIS” (Thousand men catch ), “off, ff, la" (Pull, pull, pull ) “{Rigoi, joigos” (Run away, Run away ), "হরি হরি বোল—হরি হরি বোল।” * এই তো গেল ইংরাজ রাজত্বের প্রথম আমলের কথা । তাহার পর যখন ডেপুটী কালেক্টরী, মুন্সেফ প্রভৃতি পদের স্বষ্টি হইল ও সেক্রেটেরিয়টের অল্পাধিক বেতনের কেরাণীগিরির জন্ম হইল, তখন দশ পনরো, বৎসর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিলাভের এক চরম উদ্দেশ্য হইয় দাড়াইল শীঘ্র শীঘ্র পাশ করিয়া এই সকল পদলাভ করা কাজেই আমাদের সমাজের এক সংস্কার জন্মিল যে ইংরাজী লেখাপড়া শিক্ষা করিলেই চাকুরী করিয়া জীবিকা নির্ব্বাহ করা সহজ হইবে । কিন্তু একথা কেহ তলাইয়া দেখিল না যে অজস্র চাকুরীর স্বষ্টি কদিন চলিবে ? আমাদের দেশে বহুকাল হইতেই একটা সারবান বচন চলিয়া আসিতেছে,— “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ তদদ্ধং কৃষি কর্ম্মণি। তদৰ্দ্ধং রাজসেবায়াং ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ |" নলাব সিরাজ-উদ্দৌলার কলিকাতা অবরোধের পয় ইংরাজদিগের সহিত যে সন্ধি স্থাপিত হয় তাহার অন্যান্য সর্ত্তের মধ্যে একটা সৰ্ব এই ছিল যে সিরাজ ব্যবসায়ের ক্ষতিপূরণস্বরূপ শুধু আর্ম্মেণীয় বণিকদিগকে

  • সেকাল আর একাল-২৫—২৭ পৃ: