পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নে ড়েী “সে তাই বলে, “কি জানি বাবা, যা যুক্তি করা। চাল বাড়ন্ত ঘরে, বুঝে সুঝে যা যুক্তি কর। দাও, বেচেই দাও।” পেটের জ্বালায় বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলি কঁাদে, তারা তাদের থাপড়ে দেয় । কান্না ভেসে আসে শূন্যে এদিক ওদিক থেকে, আতঙ্কে বুকটা মুচড়ে যায় তারার, একটু সময় নড়নচড়ন বন্ধ করে নিথর হয়ে বসে থাকে । তারপর আবার হাত উঠে যায় মাথায়, জট ছাড়াতে, চুলকোতে আর উকুন মারতে ! চুলের অরণ্য থেকে উকুন খুজে এনে দুই বুড়ো আঙ্গুলের নখে টিপে পুটু করে মারবার মুহুতটিতে বিশ্ব-সংসার "তুচ্ছ হয়ে যায় তারার কাছে। শরীর বেশ খানিকটা শুকিয়েছে, নোলায় জল কম। তবু জিভে দিব্যি আওয়াজ হয়। উসস-উকুন মারার পুটু শব্দের সঙ্গে । প্রথম মড়া কান্নাটা কিন্তু তার বড়ই জমজমাট হল এই চুলের জন্য। পাচনিখে থেকে মেয়ে মনা এল বিধবা হয়ে, ছেলে হারিয়ে কচি মেয়েটাকে বুকে নিয়ে ধুকতে ধুকতে। তার স্বামী মরবার পর শ্বাশুড়ী আর এক ছেলেকে নিয়ে তাকে ফেলে পালিয়ে গেছে। কঁদতে কঁাদতে তারা চুল ছিড়িতে লাগল এলোপাথাড়ি চুলেরই যন্ত্রণায়, কিন্তু তার শোকের প্রচণ্ডত দেখে সবাই হয়ে গেল। হতভম্ব । এমন শোকাত হবার ক্ষমতা তাদের ছিল না। অনুভূতি ভোতা হয়ে এসেছিল খানিকটা, দেহে শক্তিও ছিল না। আতখানি । তারার কোলের ছেলেটাও ছোট । মনা তার মেয়েটাকে মার কোলে তুলে দিয়ে বলে, “একটু মাই দেম ওকে। মোর দুধ শুকিয়ে গেছে।’ তারার যেন বাকী আছে বুকের দুধ শুকিয়ে যেতে ! চালের Y (RG