বিধবা বিবাহের ফলে নির্য্যাতন R [ هواه وسbولسواده . আবার আসিয়া আমাকে ধরিলেন । আমি তাঁহাকে সিধবা বিবাহ করিবার জন্য নাচাইয়া তুলিলাম। তিনি তাহাতে সম্মত হইলেন। তখন আমি হেম দাদার সাহায্যে ঈশানচন্দ্র রায়ের সহিত সাক্ষাৎ ৰুরিলাম। যোগেন্দ্র ও ঈশানের ভগিনী মহালক্ষ্মী পরস্পরের সহিত পরিচিত হইলেন এবং বিবাহিত হওয়া স্থির করিলেন। মহালক্ষ্মীর বয়স তখন বোধ হয় ১৮ বৎসর হইবে । আমাদের অপেক্ষা ২৩ বৎসরের ছোট। বিবাহ স্থির হইলে আমি সেই সংবাদ লইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট গেলাম। তিনি পূর্ব্ব হইতেই ঈশানকে ও তাহার ভগিনীকে জানিতেন, এবং যত দূর স্মরণ হয় কিছু কিছু অর্থ সাহায্য করিয়া আসিতেছিলেন। আমার মুখে মহালক্ষ্মীর সহিত যোগেনের বিবাহের সংবাদ পাইয়া তিনি আনন্দিত হইয়া উঠিলেন, এবং নিজে উপস্থিত থাকিয়া বিবাহ দিবেন বলিলেন। বিবাহের দিন স্থির করিয়া দুই তিন জন ভদ্রলোককে মাত্র নিমন্ত্রণ করিয়া বিবাহ দেওয়া হইল । বিদ্যাসাগর মহাশয় বিবাহের সমুদয় ব্যয় দিলেন, এবং আমার যত দূর স্মরণ হয়, কন্যাকে কিছু কিছু গহনা দিলেন। বিধবা বিবাহের ফলে নির্য্যাতন।—এই বিবাহের পরেই ভয়ানক নির্য্যাতন আরম্ভ হইল। যোগেন্দ্রের আত্মীয় স্বজন তঁহাকে পরিত্যাগ করিলেন। তঁহার স্কলারশিপৃ ও ঈশানের স্কলারশিপৃ মাত্র ভরসা দাড়াইল । তদুপরি চাকর চাকরানী কেহই থাকে না, দিন চলা ভার। এই অবস্থাতে তঁাহারা আমাকে গিয়া তাহদের সঙ্গে থাকিতে অনুরোধ করিলেন। আমি তখন শাখারীটােলায় জগৎ বাবুর বাটতে থাকিতাম। যোগেন্দ্রের , ও ঈশানের স্কলারশিপের সহিত আমার স্কলারশিপ যোগ করিলে তঁহাদের কিঞ্চিৎ সাহায্য হইতে পারে, এবং আমি সঙ্গে থাকিলে অপরাপর নানা প্রকারে সাহায্য হইতে পারে, এই আশায় তঁাহারা আমাকে তঁহাদের সঙ্গে থাকিতে ধরিয়া বসিলেন। আমি বিবাহের ঘটক, আমি তাহাদের