૨છr শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ ১২শ পরিঃ সমভিব্যাহারে যাত্রা করিলেন। আমরা সে বারে কোন কোন স্থানে কি কি বিশেষ কাজ করি, তাহার সকল স্মরণ নাই। বোধ হয় অন্যান্য স্থানের মধ্যে উত্তর বেহারের নেপাল-প্রান্তবর্ত্তী মতিহারী সহরে গিয়াছিলাম। তখন মতিহারী যাইবার রেল ছিল না। মজঃফরপুর হইতে ৫০ মাইল এক্কা চড়িয়া যাইতে হইত। এই আমার প্রথম এক্কা গাড়িতে চড়া। দেখিলাম, এই এক্কা গাড়ি এক অদ্ভুত যান ; একটা ঘোড়াতে টানে ; চালকের পশ্চাতে আরোহীর বসিবার আসন, সে একজন-যোগ্য আসন, দুই জনের ভাল স্থান সমাবেশ হয় না ; আসনের উপরে ঠাকুর-চৌকির চুড়ার ন্যায় একটু আচ্ছাদন, তাহাতে জল বৃষ্টি রৌদ্র ভাল রূপ বারণ হয় না। চাকাতে প্রিং নাই, খটখটিৰ ওঠে ও পড়ে ; অৰ্দ্ধ দণ্ডের মধ্যে কোমরে ব্যথা হয় ; ছুটিলে চাকার শব্দে কর্ণ বধিরপ্রায় হয়। তাহার উপরে আবার অনেক গাড়িতে দুই চাকাতেই করতাল বাধা থাকে, চাকার খড়খড়ানি ও করতালের ঝমােঝমানিতে আর কিছু শুনিতে পাওয়া যায় না। গাড়িতে চড়িয়া মনে হইল, করতাল বাধিয়া ভালই করিয়াছে, আরোহী যে “বাপ রে মা রে” করিবে, তাহা চালক শুনিতে পাইবে না, তার গাড়ি চালানর ব্যাঘাত হইবে না। এই এক্কা গাড়িতে প্রথম দিন কিয়দার গিয়া অচেতনপ্রায় এক দোকানে পড়িলাম। মনে করিলাম, আর প্রাতে উঠিতে পারিব না। কিন্তু প্রাতে দেখি, কোমরের ব্যথা অনেক কমিয়াছে ; আবার যাত্রা করিলাম । দুই দিনে মতিহারী পৌছিলাম। মতিহারীতে কয়েক দিন থাকি। পরে সেখানে আরও দুই বার গিয়াছি। * মতিহারী হইতে ফিরিয়া আমরা বাকিপুর আরা এলাহাবাদ হইয়া লক্ষ্মৌ যাই। লক্ষে গিয়া টেলিগ্রাম পাইলাম যে, আমার জ্যেষ্ঠা কন্যা হেমলত কলিকাতাতে অত্যন্ত পীড়িত । মুঙ্গেরে পরিবারদিগকে Gette