পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

svry শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত , ? ? পরিা ভাল করিয়া মাখিয়া তার মুখে দিতে লাগিলেন ; সে আহার করিল। জল দিলেন, জল পান করিল। কিন্তু হায়, পর ক্ষণেই প্রাণবায়ু তার দেহকে পরিত্যাগ করিল। আমার মা কাদিতে লাগিলেন । তার পর মা আমাকে বলিয়াছিলেন, “ও বোধ হয়। পূর্ব্বজন্মে আমার কোনও उाछौम्न छिठा ।” কোথাও পুরাণ পাঠ হইতেছে বা ধর্ম্মের ব্যাখ্যা হইতেছে শুনিলে, মাকে নিতান্ত অসুস্থ অবস্থাতেও এবং নিতান্ত বাৰ্দ্ধক্যেও ধরিয়া রাখা ষাইত না। আমাদের বাড়ী হইতে দূরে হইলেও লাঠির উপর ভর করিয়া সেখানে গিয়া উপস্থিত হইতেন । ” এক বার মা আসিয়া আমার বালিগঞ্জের বাসাতে কিছু দিন ছিলেন। তাহার মধ্যে তঁহার কি একটা ব্রত উপস্থিত হইল। ঐ ব্রতের সময় ব্রতকারিণীকে একটা ‘কথা’ শুনিতে হয়। আমি পূজা করিবার ব্রাহ্মণ আনিলাম, কিন্তু সে বেচারা সে ‘কথা’টা জানিত না । আমি আবার ব্রাহ্মণ খুঁজিতে বাহির হইলাম। ব্রাহ্মণ পাইলাম না। আসিয়া দেখি, মা আসন দিয়া আমার ভবনের এক পাশ্বে বসিয়াছেন, এবং বিড় বিড় করিয়া সমগ্র ‘কথা’টি বলিয়া যাইতেছেন । আমার কন্যারা তঁহাকে ঘিরিয়া হাসিতেছে, বলিতেছে, “ও মা, এ কেমন ‘কথা’ শোনা ।” তিনি হস্ত সঞ্চালন দ্বারা তাহাদিগকে চুপ করিতে বলিতেছেন। শেষে উঠিয়া হাসিয়া বলিলেন, ‘কেন ? ‘কথা’ শোনা চাই, এই মাত্র ধর্ম্মে বলে। পরের মুখে শুনবে কি নিজের মুখে শুনবে, তার ত নিয়ম নাই ? কথা গুলো আমার কানে গেলেই হ’ল । আমারই কথা আমার কানো গেল, এই তা হ’ল।” এক নাত্নী বলিয়ু উঠিল, ‘ধন্তি ঠাকুরমা তোমার বুদ্ধি!” মা বলিলেন, “বুঝলি না ? কথাটা না শুনলে ব্রতটা পণ্ড হয়, তাই নিয়মটা রক্ষা করা গেল।” বাবা বোধ হয় লোকের মুখে “বাহবা পণ্ডিত মশাই!” এই কথাটা