পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)ব্যঙ্গ কবিতা ‘গঙ্গাধর হাতী WV { لا وهموه ساد “তুমি ভাল ছেলে, আমি তোমার ব্যবহারে সন্তুষ্ট হইয়াছি”, তখন ভাল ছেলে হইবার বাসনা যে মনে কত প্রবল হইল, তাহা বলিতে পারি না। সত্যপরায়ণতা।—ফলতঃ আঁমি তখন মিথ্যা বলিতে পারিতাম না ; বড় জোর মৌনী থাকি,তাম, অসত্য বলিতাম না। ইহারই কিঞ্চিৎ পরবত্তী কালের আর একটি কথা স্মরণ আছে, তাহা এই প্রসঙ্গেই উল্লেখ করি। তখন আমি সিদ্ধেশ্বর চন্দ্রের লেনে মাতুলের নিকট থাকি । বাসার বড় বড় ছেলেরা আমাকে তামাক খাইতে শিখাইয়াছিল। নিজে তামাক খাইয়া আমার হাতে হু কাটি দিয়া বলিত, “টান” । প্রথম প্রথম টানিয়া ঘুর লাগিত, তবু সখের জন্য টানিতাম। এক দিন তামাক টানিয়া বড় মামার নিকট বাজারের পয়সা আনিতে গিয়াছি, তিনি তামাকের গন্ধ পাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুই তামাক খাস?” আমি মস্তক সঞ্চালান করিয়া বলিলাম, ‘হঁ” । তৎপর তিনি প্রশ্ন করাতে যেরূপে যেরূপে তামাক খাইতে শিখিয়াছি, ও যত বার খাই, সমুদয় বর্ণনা করিলাম। তখন আমার বয়ঃক্রম তের বৎসরের অধিক হইবে না। মাতুল শুনিয়া বাসার লোকের প্রতি আতিশয় ক্রুদ্ধ হইলেন, এবং আমাকে তামাক না খাইবার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করিলেন। আমি তদবধি আর তামাক খাই নাই । কিন্তু এক বার একটি মিথ্যা বলিয়া মাতুলকে প্রবঞ্চনা করিয়াছিলাম, তাহা যথাস্থানে বলিব । ব্যঙ্গ কবিতা ‘গঙ্গাধর হাতী’ ।-জেলিয়াপাড়াতে অবস্থিতি কালের একটি কৌতুকজনক ঘটনা স্মরণ আছে। আমাদের ক্লাসে গঙ্গাধর নামে একটি ধনী-সন্তান পড়িত। সে বড় মোটা ছিল, এজন্য ক্লাসের ছেলেরা তাহাকে ‘গঙ্গাধর হাতী’ বলিত। গঙ্গাধর পড়াশোনাতে বড় মনোযোগী ছিল না, সেজন্য ওঠা-নামার সময় উপরে উঠতে পারিত না । এক দিন। কিন্তু ঘটনাক্রমে গঙ্গাধর ফাষ্ট হইয়া গেল । তখন তার আমাদের প্রতি অবজ্ঞাপূর্ণ দৃষ্টি দেখে কে ? তাহা আমার